‘দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করবই’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

‘দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করবই’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

 

কলকাতা: ‘আমি বিরোধী দলনেতা, পারলে দল ভাঙিয়ে দেখাও’, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় ‘ঘরে’ ফিরেছেন৷ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়কে দলে টেনে নিয়েছেন৷ প্রায় ৪ বছর পর মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে শুভেন্দুর এই হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷

বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে শুভেন্দু দলত্যাগ বিরোধী আইন বাংলায় কার্যকর করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন৷ ‘ঘরের ছেলে’ মুকুল রায় ঘরে ফেরার পরেই বেশ কিছু বিজেপি বিধায়ক, সাংসদেরও তৃণমূল যোগ নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমন সময়েই ফের শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি বাংলায়। পদ্ধতি জানি। বিরোধী দলনেতা হিসাবে বলছি, দলবিরোধী আইন কার্যকর করে দেখাব।” পাশাপাশি তিনি জানান, এবিষয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। নিজের দলত্যাগ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “আমি একজন সাধারণ ভোটার হিসাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। সবাইকে দলত্যাগ বিরোধী আইন মেনে দল বদল করতে হবে৷ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল যে আইনের উর্দ্ধে নয় তা প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব আমার।”

প্রসঙ্গত, মুকুল রায় যেমন বিধায়ক পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেননি, তেমনই শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারীও তৃণমূলের সাংসদ থাকাকালীনই যোগ দেন বিজেপিতে৷ পরবর্তীতেও তিনি সাংসদ হিসাবে পদত্যাগ করেননি৷ যদিও এই ধারা তৃণমূলেও অটুট৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − four =