‘নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব’, হুঙ্কার মমতার

‘নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব’, হুঙ্কার মমতার

কলকাতা: সপ্তম দফার নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন কমিশনকে যা নয় তাই বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতায় ভার্চুয়াল সভা করেন মমতা। সেখানেই বিভিন্ন ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে তুমুল কটাক্ষ করেন তিনি। বললেন, “নির্বাচন কমিশন প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে আমাদের সাথে। বিজেপির টিয়া, ময়না, আয়না সব হয়ে গিয়েছে কমিশন। কেন ৮ দফায় নির্বাচন হবে? তৃতীয় দফা থেকে রাজ্যে কোভিড ছড়াচ্ছে। আমরা বলেছিলাম বাকি দফাগুলো একসঙ্গে করে দিতে। কিন্তু বিজেপির আয়না, নির্বাচন কমিশন করল না। বিজেপি বলে দিয়েছিল ৮ দফায় নির্বাচন করতে। তাই করেছে।”

সোমবার সকাল থেকে রাজ্যে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচন চলছে দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কলকাতা দক্ষিণ ও পশ্চিম বর্ধমানের ৩৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে। সেই সময়ে কলকাতার শ্যামপুকুরের মিনার্ভা থিয়েটারে ভার্চুয়াল সভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রাজ্যে করোনা ছড়ানোর জন্য দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। বললেন, “নির্বাচন কমিশন বাইরে থেকে ২ লক্ষ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে এসেছে। আজকে তিন মাস ধরে তারা এখানে আছে। তারা আমার রাজ্যে এসে চারিদিকে করোনা ছড়াচ্ছে। কোনও করোনা পরীক্ষা হয়নি এই জওয়ানদের। পরীক্ষা হলে দেখা যাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৭০ শতাংশ জওয়ানের করোনা আছে। ৬ দফার নির্বাচন তো হয়ে গেছে, এখন কি দরকার আর বাহিনীর? আমার রাজ্য পুলিশের ওপর ওদের ভরসা নেই।”

ভোটের মুখে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পুলিশ অফিসারদের বদলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে তীব্র কটাক্ষ করলেন। বললেন, “আমার ছোট ছোট অফিসারদেরও এখানে-ওখানে বদলি করে দিচ্ছে। আর রাজ্যে ভোটের দায়িত্ব দিয়েছে দুজন রিটায়ার্ড অফিসারকে। নায়েক আর দুবে। দুটো রিটায়ার্ড অফিসার কর্মরত অফিসারদের নিয়ন্ত্রণ করছে কি করে? লজ্জা করে না। লজ্জা-ঘৃণা-ভয় তিন থাকতে নয়। আমি সব ডকুমেন্টস রেখে দিয়েছি। ভোটের পরে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাব। এরকম নির্বাচন কমিশন যদি থাকে তাহলে আগামী দিনে ভারতে গণতন্ত্র বলে আর কিছু থাকবে না। পুরোটাই মোদীতন্ত্র হয়ে যাবে। দেশে মারাত্মকভাবে করোনা বাড়ছে, এর মধ্যেও নরেন্দ্র মোদী ‘মন কি বাত’-এ কথা বলছেন। আর নির্বাচন কমিশন বাংলায় কি করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকানো যায় তার দায়িত্বে রয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাবো।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *