কলকাতা: বিরোধী দলনেতা হিসাবে কলমকেই প্রথমে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একটি বহুল প্রচলিত সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্রে তিনি রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে লিখেছেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত, আজ পশ্চিমবঙ্গে মানুষের মন মুক্ত নয়। লজ্জায় মাথা অবনত। ফ্যাসিজম কীরকম দেখতে হয় আজ তা বাংলা দেখাচ্ছে। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাজ্যের শাসক দলের গুণ্ডার আক্রমণ করে। এবং, এটি শুধুমাত্র একটি ব্যাতিক্রমী ঘটনা নয়।’’
শুভেন্দু লিখেছেন, “বিজয় বিনম্রতা প্রদান করে। শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছেন, যে গাছের ফল থাকে সেই গাছই ঝুঁকে পড়ে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল আমরা দেখেছি। মানুষ তৃণমূলকে রাজ্য শাসনের ভার তুলে দিয়েছেন। তৃণমূল দিকে দিকে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই ভয়ঙ্কর কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে বাংলার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোভিড নিয়ে বৈঠক ডাকলেও কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী।”
১১ মে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সংবাদপত্রে শুভেন্দুর Betraying Bengal’s mandate’ – শিরোনামে এই লেখাটি প্রকাশিত হয়। ২০২১ সাল মমতাকে কী স্বস্তি দেবে? উত্তর না। রাজনৈতিক বিশ্লেষণের একটি দিক স্পষ্টত দেখাচ্ছে, বড় জনমত থাকলেও কিন্তু মমতা চিন্তায় থাকবেন। কারণ, বিধানসভায় মমতাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আসবেন শুভেন্দু অধিকারী। সমস্বরে বিজেপির বিধায়করা বলবেন ‘হেরো মুখ্যমন্ত্রী’ – অন্তত যতদিন না উনি নির্বাচিত হয়ে আসছেন। বিধানসভায় আরও এক অপছন্দের ব্যক্তিকে দেখতে পাবেন মমতা। নাম মুকুল রায়। বিজেপি কাকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে পছন্দ করে তা সময় বলবে। কিন্তু, মুকুল-শুভেন্দু মমতাকে স্বস্তিতে থাকতে দেবেন না, তা আন্দাজ করা যায়। বিধানসভার বাইরে এবং ভিতরে, রাজ্যের প্রতিটি কোণে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে বিজেপি। ২০১১ সালের বামফ্রন্টের মত ‘ভদ্রলোক’ বিরোধীদল এবার পাবে না মমতা। এই প্রথম রাজ্য বিধানসভা বামশূন্য।