কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচন জেতার পর রাজ্যের শাসক দল অন্যান্য রাজ্যেও সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। ত্রিপুরা থেকে শুরু করে অসম, গোয়াতেও ঝাঁপিয়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। সম্প্রতি এবার দিল্লি সফর করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে আগের সময় থেকে। আর এবার মুম্বই সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিকেলেই বাণিজ্য নগরীতে পা রাখার কথা তাঁর।
দুদিনের সফরে মহারাষ্ট্র যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ টানা একমাত্র লক্ষ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন যে মমতার এই সফরের রাজনৈতিক তাৎপর্য অনেক বেশি। ইতিমধ্যে ঘাসফুল শিবির অনেকটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের বনিবনা ঠিকভাবে হচ্ছে না। বিধানসভা নির্বাচন জেতার পর প্রথম দিল্লি সফরে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেও শেষ দিল্লি সফরের সেটা করেননি মমতা জানিয়ে ফিসফাস ইতিমধ্যেই হচ্ছে। এর পাশাপাশি রয়েছে একাধিক বক্তব্যে কংগ্রেসকে খোঁচা দেওয়ার বিষয়ে। সব মিলিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের ‘জোট’ যে সম্ভব হবে না তা মোটামুটি বলা যেতেই পারে। সেই প্রেক্ষিতে মুম্বই গিয়ে উদ্ধব ঠাকরে এবং শারদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন মমতা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও শেষ পাওয়া খবরে অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মমতার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।
আগেই জানা গিয়েছিল যে মমতার এই সফরে তাঁর সঙ্গী হতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা পৌঁছানোর পর রাতে মুম্বই পৌঁছানোর কথা রয়েছে অভিষেকের। এও জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে থাকতে পারে শিবসেনা এবং এনসিপি নেতৃত্ব। সেখানে হাজির থাকতে পারেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারও।