কলকাতা: এবার বাংলায় তৈরি হতে চলেছে হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন৷ রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমতি পেতে চলেছে বেঙ্গল কেমিক্যালস৷ অনুমতি মিললে ২ কোটি হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ট্যাবলেট তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের বেঙ্গল কেমিক্যালস৷
সূত্রের খবর, হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন তৈরি করতে চেয়ে বৃহস্পতিবার বেঙ্গল কেমিক্যালের তরফে সরকারি ভাবে আবেদন জানানো হয়েছে৷ যেহেতু বেঙ্গল কেমিক্যাল ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্লোরোকুইন তৈরির সঙ্গে যুক্ত, ফলে, হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন তৈরির জন্য প্রয়োজন অনুমতি৷ পরিকাঠামো রয়েছে যথেষ্ট৷ পরিকাঠামো যা আছে তাতে তারা হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন তৈরি করতে সক্ষম৷ কিন্তু সরকারি ভাবে কোন ওষুধ তৈরি করতে গেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়৷
জানা গিয়েছে, বেঙ্গল কেমিক্যালসের তরফ লিখিতভাবে আবেদন করে জানিয়েছে, তারা করোনা রোগে ব্যবহৃত হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন তৈরি করতে চান৷ সেই আবেদনপত্র জমা পড়ার পর প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বেঙ্গল কেমিক্যাল সংস্থাকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ওষুধ তৈরি করতে চান৷ এই মর্মে ওই সংস্থানে ছাড়পত্র দিতে চলেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আর কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত অনুমোদন চলে আসবে বেঙ্গল কেমিক্যালসের হাতে৷
বেঙ্গল কেমিক্যাল সূত্রে খবর, রাজ্যের তবে অনুমতি পেলেই তারা হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ওষুধ তৈরির কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন৷ প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, অন্তত দু'কোটি হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন ট্যাবলেট তারা প্রস্তুত করবেন৷ এই জন্য যে কাঁচামালের প্রয়োজন, সেই কাঁচামালের সংকট মেটাতে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সহায়তা চাইতে পারে ওই সংস্থা৷
বিংশ শতকের গোড়ার দিকে স্বদেশি আন্দোলনের সময় দেশীয় শিল্পের উন্নতিসাধনেই প্রফুল্লচন্দ্র রায় গড়েছিলেন বেঙ্গল কেমিক্যালস। বর্তমানে যার নাম বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ১২০ বছরের এই সংস্থাটি মাঝে বেসরকারিকরণেরও উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। যদিও তা আটকাতে সিটু-সহ অন্যান্য সংগঠনগুলি এগিয়ে এসেছিল। সূত্রে প্রকাশ, হাইকোর্টে মামলাও করেছিল বামরা। সেই বেঙ্গল কেমিক্যালস এখন আলোচনার শীর্ষে। করোনার এই ভয়াবহ সময়ে গোটা দেশ তথা বিশ্বের কাছে ভরসার নাম ১৯০১ সালে তৈরি আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের বেঙ্গল কেমিক্যালসের নাম।