কলকাতা: লকডাউন আর করোনা আতঙ্কে নাজেহাল মানুষ। এর সঙ্গে নতুন আতঙ্ক আসতে চলেছে রাজ্যের সৈকতবাসীদের জন্য। ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধছে ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে আমফান। ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে আমফাম। ১১ বছর আগে আয়লার মতো আমফান ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিনে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছিল। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ১৯-২০ মে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টা আঘাত হানতে পারে। তবে বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের যা আবহাওয়া, তাতে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার জন্য অনুকূল। যার ফলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে আমফান। ২০০৯ সালের ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ে আয়লা৷ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর তছনছ হয়ে যায়। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবণ এলাকা। বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে পড়ে চাষের জমিতে। কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতি হয়। জমির পর জমি নষ্ট হয়ে যায়। সেই ক্ষত থেকে সুন্দরবনের কৃষকরা এখনও সেরে উঠতে পারেনি।
অন্যদিকে, এই ঝড় দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশে ঢুকে যেতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলের মানুষ আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। বাংলাদেশে আশঙ্কা করছে, দিক পরিবর্তন করে তাদের দেশে ঢুকলে বুলবুলের মতো ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।