নদীয়া: কথা রাখেনি কর্তৃপক্ষ৷ উল্টে রাতারাতি অন্যায়ভাবে চাকরি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে৷ এরই প্রতিবাদে রবিবার রাত থেকে সংস্থার প্রধান ফটকের সামনে চলছে বিক্ষোভ। আজ সকালে সকল কর্মচারীরা একত্রিত হলে বিক্ষোভ আরও বড়সড় আকার নিয়েছে৷
ঘটনাটি নদীয়ার হরিণঘাটা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় একটি বহুজাতিক সংস্থায়। বন্ধ প্যাকেজিংয়ের সমস্ত কাজ। বিক্ষোভরত কর্মীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করছেন বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে হরিণঘাটা থানার পুলিশ। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের চাকরিতে পুর্নবহাল না রাখলে তাঁরা জাতীয় সড়কেই আত্মহত্যা করবেন৷ পরিস্থিতি ক্রমেই অগ্নিগর্ভ আকার নেওয়ায় এলাকায় যাচ্ছে আরও পুলিশ বাহিনী৷
সূত্রের খবর, পুলিশ আন্দোলনকারী ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে আপাতত সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজছে৷ আন্দোলনকারীরা জানান, এখানে প্রায় পাঁচ হাজার যুবক কর্মরত৷ ২ মাসের চুক্তিতে কাজে নিয়োগের সময় বলা হয়েছিল, ভাল করে কাজ করলে, ছুটি না নিলে চাকরি পুনর্নবীকরণ করা হবে৷ কিন্তু কোনও নোটিস ছাড়াই রবিবার রাতে কর্মীরা কাজে এলে তাঁদের কারখানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ বলা হয়, তোমাদের মেয়াদ শেষ৷ তোমরা চলে যাও৷ অন্য কোথাও কাজ খোঁজো৷
বিক্ষোভরত কর্মীদের বক্তব্য, ‘‘টানা ২ মাস কাজ করেছি৷ চাকরি পুনর্নবীকরণের জন্য ছুটি পর্যন্ত নিইনি৷ এভাবে বিনা নোটিসে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া মেনে নেব না৷’’ এরপরই শুরু হয় আন্দোলন৷ সকাল হতে আরও কর্মীরা কাজে যোগ দিতে এসে শোনেন, চাকরি নেই৷ তারপরই বিক্ষোভ বড় আকার নেয়৷ এখনও আন্দোলন চলছে৷ কর্তৃপক্ষের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷