কলকাতা: তাঁর মন্তব্যে একাধিকবার অস্বস্তিতে পড়েছে দল। কিন্তু এবার একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ভরতপুরের দলীয় বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ করেছে তারা। জল্পনা ছিল যে, হুমায়ুনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে শাসক দল। সেই জল্পনাই এখন সত্যি হয়েছে। এদিনই শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের সঙ্গে হুমায়ুন কবীরের সংঘাত চরমে পৌঁছেছিল। সেই প্রেক্ষিতে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র বলে আক্রমণ করেছিলেন তিনি! এরপর গত বৃহস্পতিবার বিধানসভায় নাম না করেই হুমায়ুনকে একহাত নেন খোদ মমতা। তিনি বলেছিলেন, তাঁর দলের একজন আছেন যিনি মাঝে মাঝে হুমকি দেন। এসব তিনি বরদাস্ত করবেন না। জল্পনা তখন থেকেই শুরু হয়েছিল যে, হুমায়ুনের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যবস্থা নিতে পারে। অবশেষে হলও তেমনটাই। জানা গিয়েছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাঁকে শো-কজের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি ডিগবাজি খাওয়া নেতা হয়তো তিনিই। কখনও কংগ্রেস, কখনও তৃণমূলে, কখনও আবার বিজেপি! সব চেখে তিনি ফের ফিরেছেন তৃণমূলে। এভাবেই ২০১৫ সালে তৃণমূলের থাকাকালীন তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। তখন তাঁকে শো-কজ করেন তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই শো-কজের জবাব না দিলে তাঁকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। হুমায়ুন ফেরেন কংগ্রেসে। তারও কিছুদিন পর তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের পর ফের ঘাসফুলে আগমন হয় তাঁর।