কলকাতা: বেশ কিছুদিন যাবৎ একটা চাপা জল্পনা ছিল যে হুমায়ুন কবির হয়তো রাজনীতিতে আসবেন। সেটাই সত্যি হয়ে গেল। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা। সম্প্রতি চন্দননগরের কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে তার স্ত্রী অনিন্দিতা কবির ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন। তারপর থেকেই হুমায়ূনকে নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়। অবশেষে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে।
অবসরের আর মাত্র চার মাস বাকি ছিল কিন্তু তার আগেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন হুমায়ুন। সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন যে, লেখালেখির কাজ জমা থাকায় সেগুলি শেষ করার জন্য ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তবে এখন তাঁর ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারটা পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন চন্দননগরের প্রাক্তন কমিশনার। হুমায়ুন কবীরের জায়গায় চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হয়েছেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি গৌরব শর্মা। বামফ্রন্ট আমলে তিনি তৎকালীন নেতাদের পছন্দের লোক ছিলেন বলেই সকলেই জানেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর হুমায়ূনকে মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার করা হয়। সেই সময় থেকেই তাঁর তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার ব্যাপারে খবর বেরোতে থাকে কারণ অধীর চৌধুরীরা অভিযোগ করেন যে জেলায় হুমায়ুন তৃণমূল সভাপতির মতো আচরণ করেন! পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁকে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার পথে বসায় সরকার।
প্রসঙ্গত গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে নব্য বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন যে, শাসকদল বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক পাচ্ছে না তাই পুলিশ অফিসারকে ইস্তফা দিতে হচ্ছে! একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ক্রীড়াক্ষেত্র থেকে শুরু করে সাংবাদিক মহল সব জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী খুঁজজে। কারণ তাদের দলে প্রার্থীর আকাল পড়েছে। এবার সরকারিভাবে রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশকর্তার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বিজেপির তরফে কি বলা হয় এখন সেটাই দেখার।