বাংলায় হবে করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ, চলছে প্রস্তুতি

বাংলায় হবে করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ, চলছে প্রস্তুতি

কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসে বাজারে আসতে পারে করনা প্রতিষেধক৷ এই মর্মে এবার প্রস্তুতি শুরু করে দিলো আইসিএমআর৷ আগামী ৭ জুলাই থেকে ভারত বায়োটেকের তৈরি করা ভ্যাকসিনের মানব দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে আইসিএমআর৷  স্বাধীনতা দিবসের আগে সেই কাজ দ্রুত শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, এবার বাংলার বেশ কয়েকটি জায়গায় এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হতে পারে৷

ভারতের তৈরি নিজস্ব করোনা ভ্যাকসিন মানব দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সেই তালিকায় রয়েছে কলকাতার নাম৷ কলকাতার চারটি ওয়ার্ডে এই ভার্সনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে বলে কলকাতা নাইসেড সূত্রে খবর৷ ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক এই প্রয়োগের পুরো বিষয়টি তদারকি করবে নাইসেড৷

জানা গিয়েছে, পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের জন্য হাসপাতালে যোগাযোগ করা হচ্ছে৷ কলকাতার চারটি ওয়ার্ডকে প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করার কাজ চলছে৷ সেখানে পরিকাঠামো তৈরি করা, জনসংযোগ কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে৷ এবার কলকাতায় এই ওষুধের ভ্যাকসিনের দ্রুত পরীক্ষামূলক প্রয়োগের মাধ্যমে দেখা হবে, মানবদেহে কী প্রভাব ফেলছে৷ ওই ভ্যাকসিন সফলভাবে প্রয়োগ করা যাচ্ছে কি না বা তার থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে কি না৷

দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও স্বাধীনতা দিবসে ভারতে মিলতে পারে করোনা প্রতিষেধক কো-ভ্যাকসিন৷ ৭ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা৷ ভারত বায়োটেকের তৈরি করা ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে আইসিএমআর৷  ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সংস্থাকে চিঠি দিয়ে আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করতে হবে৷ যাতে আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে বাজারে ভ্যাকসিন আনা যায়৷

এই মর্মে আগামী ৭ জুলাই থেকে সমস্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পুরোদমে চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷  ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় করোনা ভ্যাকসিনকে পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া৷ জাইডাস ক্যামেলিয়া সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিনকে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নয়া চর্চা৷ ভারতের তৈরি দুটি ভ্যাকসিন নিয়ে ইতিমধ্যেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছে গোটা দেশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *