তৃণমূলের ভাঙনের নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দল! ক্যানিং বড়সড় ধস শাসকদলে, মানতে নারাজ পার্থ

তৃণমূলের ভাঙনের নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দল! ক্যানিং বড়সড় ধস শাসকদলে, মানতে নারাজ পার্থ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ক্যানিং: নির্বাচন যত আসছে ততদিন যেন সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্যের শাসকদল৷ জেলা ও ব্লক স্তরেও তৃণমূলের ভাঙন অব্যাহত৷ যার নেপথ্যে রয়েছে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল৷ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তিতিবিরক্ত হয়ে ঘাসফুলের হাত ছেড়ে যেন পদ্মফুলেই ভরসা পাচ্ছে তারা৷ এবার ভাঙন ধরল সুন্দরবনের ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে৷ এদিন প্রায় দুশো তৃণমূল কর্মী সমর্থক দিলীপ ঘোষের হাত ধরে গেলেন বিজেপিতে৷ আজকের এই যোগদান পর্বকে ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই সাজো সাজো রব ছিল দিঘীরপাড় অঞ্চলে৷  তৃণমূলের ক্যানিং- ১ নং ব্লকের সহ সভাপতি অর্ণব রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে যান প্রায় দুশো কর্মী সমর্থক৷ 

তৃণমূল নেতা অর্ণব রায় এদিন স্পষ্ট জানান, তৃণমূলে কাজ করার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে৷ পঞ্চায়েতে স্তরে দুনীর্তি তে মুক্ত বাতাস নেওয়ার পরিবেশ নেই।এমনকি দলে কোন সন্মান নেই৷ ক্যানিং এই এদিন জনসভা করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তাকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওরকম অনেকেই যাচ্ছে বিজেপিতে৷ কত হাতি গেল তল মশা বলে কত জল’৷ তার মানে বিষয়টি পাত্তা দিতেই নারাজ তিনি৷

ক্যানিং মহকুমায় ৪ টি বিধানসভা। ক্যানিং পূর্ব ও পশ্চিম, বাসন্তী ও গোসাবা। এই ৪ টি বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে।পাশাপাশি শাসক দলের শক্তঘাটি। আর সেই শক্তঘাটিতে ভাঙন ধরাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক সূত্রে খবর, ক্যানিং পশ্চিম, বাসন্তী, গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ও পঞ্চায়েত স্তরে বিভিন্ন প্রকল্পে দুনীর্তির অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন কর্মী সমর্থেরা৷ বুথ স্তরে তৃণমূলের কর্মী সমর্থক তিক্ত বিরক্ত হয়ে শাসক দল ছেড়ে ভিড় জমাচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। আর এই ভাঙন আটকাতে এই সব বিধানসভা গুলিতে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যথ শাসক দলের জেলা স্তরের নেতৃত্ব, এমনি মত রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কী নিজেদের ঘর রক্ষা করতে পারবে না ঘাসফুল? এভাবে ভাঙন কতদিন অব্যাহত থাকবে? বড় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 12 =