জঙ্গলের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র, সিপিএমের দিকে আঙুল তুললেন সৌগত

জঙ্গলের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র, সিপিএমের দিকে আঙুল তুললেন সৌগত

 

গোয়ালতোড়: পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ভাণ্ডরের সন্ধান পেল পুলিশ৷গোয়ালতোড়ের জঙ্গল থেকে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ জেপিসি আনিয়ে জঙ্গলের মাটি খুঁড়ে অন্ততপক্ষে ৩০টি বন্দুক উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ বিদ্যুতের তার-সহ বেশকিছু টিনের কৌটা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি পুলিশের৷ কম্বলে জড়িয়ে প্লাস্টিক দিয়ে মোড়া ছিল বন্দুকগুলি৷ ওই বন্ধুগুলি কীভাবে এল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ গোটা ঘটনার পিছনে সিপিএমের হাত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা তৃণমূল সাংসদের৷ পাল্টা সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলেছেন বাম বিধায়ক৷

গোয়ালতোড়ের জঙ্গল লাগোয়া উত্তরা গ্রাম পঞ্চায়েত৷ স্থানীয় একটি জঙ্গলের মাটির নিচে কিছু অস্ত্র রয়েছে বলে খবর পেয়েছিল পুলিশ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকা থেকে জেসিপি নিয়ে অভিযান চালায়৷ জঙ্গলের নির্দিষ্ট জায়গায় মাটি খোঁড়া হয়৷ প্রায় ৫ ফুট মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় ৩০টি নষ্ট বন্দুক৷ কম্বলে মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র৷ ওই নষ্ট হওয়া বন্দুকগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ জঙ্গলের মধ্যে কীভাবে বন্দুক এল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে গোয়ালতোড় থানার পুলিশ৷

যদিও এই ঘটনায় পেছনে সিপিএমের হাত দেখছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়৷ সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘সম্ভবত এটি সিপিএম রেখেছে৷ এর আগে সুশান্ত ঘোষের গ্রামে অনেক মৃত দেহের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল৷ অস্ত্র পাওয়া গিয়েছিল৷ সিপিএম রেখেছিল৷ এটাই বেশি সম্ভব৷ যদিও প্রত্যক্ষভাবে মাওবাদী প্রভাবিত ছিল না গোয়ালতোড়৷ তা সত্ত্বেও মাওবাদীদের একটা অংশ রেখে থাকতে পারে৷ পুলিশ নিশ্চয়ই খুঁজে বার করবে৷ তবে সিপিএমের সম্ভাবনাই বেশি৷’’

পাল্টা দিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘তাহলে সৌগত বাবুর একটা সভার ডাকুক৷ মিছিল করুক৷ নবান্ন ঘেরাও করুক৷ সবার সামনে বলুন, কেন ন’বছর ধরে তৃণমূলের সরকার এখনও কোনও বন্দোবস্ত করতে পারল না৷ সৌগতবাবু কি এখন ভূত দেখছে? যাঁদের দিয়ে মাটির তলায় বন্ধক রাখা হচ্ছিল, তাঁদের নেতা এখন তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য৷ তাঁরা এখন মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী৷ এই বাহিনীদের নিয়ে তৃণমূল চলে৷ এই বাহিনী নিয়ে এখনও তৃণমূল চলছে৷ কেন গোয়েন্দারা কী করছে? পুলিশ তো হাতের মুঠোয়৷ পুলিশ তো ওদের কথায় উঠে বসে৷ ব্যর্থতা স্বীকার করুক৷ অসভ্যতার সীমা থাকা উচিত৷’’

দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘একটা সময় জঙ্গলমহলকে উত্তপ্ত করে দেওয়া হয়েছিল৷ বহু মানুষ খুন হয়েছিল৷ এই সমস্ত এলাকা মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল ছিল৷ সেইজন্য মাওবাদীরা বন্দুক রেখে থাকতে পারে৷গোটা বিষয়টি তদন্ত করার বিষয় আছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 4 =