মালদহ: একদিনে ৫ বিধায়ক সহ মালদা জেলা পরিষদের ১৪ জন সদস্য যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরে। এক ধাক্কায় তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মালদা জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করে নিয়েছে বলে হুংকার দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষরা। যদিও এই দলবদলের কোনো প্রভাব নির্বাচনে পড়বে না বলে আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করেছেন মৌসম বেনজির নূর। কিন্তু মালদা জেলা পরিষদ হাতছাড়া হওয়ার পরেই ব্যাপক অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে সেখানে। এমনকি মৌসুমের ডাকা জেলা পরিষদের বৈঠকে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান জেলা পরিষদ সদস্য।
আজ দলবদল হওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই মালদা জেলা পরিষদে বিজেপির সদস্য সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জন। ৩৭ জনের মধ্যে ২৩ জন সদস্য মানে অবশ্যই সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথেই এগিয়েছে বিজেপি। জেলা পরিষদ দখল করা তাদের কাছে আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। এই অবস্থায় মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মৌসম বেনজির নূর বৈঠক ডাকেন। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ১৪ জন সদস্য, কিন্তু বৈঠকে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ বলা ভুল, তৃণমূলের সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। তবে এই দ্বন্দ্ব এবং বিক্ষোভের মাঝেই বিজেপি ইতিমধ্যেই বুক ঠুকে দাবি করে ফেলেছে যে মালদা জেলা পরিষদ তারা দখল করে নিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর অবশ্যই প্রচন্ড অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী বিদ্রোহের একের পর এক এমন ছবি সামনে এসেছে যে দেখা গিয়েছিল, মালদহে শাসকদলের পরিস্থিতি বিশেষ সুবিধাজনক নয়। অবশেষে আজ যা হল, তাতে এই ব্যাপারটাই পরিস্কার হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: তৃণমূল প্রার্থী লাভলি মৈত্রর IPS স্বামীকে সরানো প্রক্রিয়া শুরু নির্বাচন কমিশনে!
যদিও মৌসম বেনজির নূরের স্পষ্ট বক্তব্য, এইভাবে দলবদল করিয়ে আখেরে কোনও লাভ করতে পারবে না বিজেপি। আবার আজকের এই দলবদল প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বিজেপির কাছে ইডি, সিবিআই, এজেন্সি, দলবদল করানো নেতা, সবাই আছে, আর তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আছে শুধু একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত সিনেমার সংলাপ মনে করিয়ে দেন তিনি।