কলকাতা: একই দিনে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল দুটি জায়গা। একদিকে আমহার্স্ট স্ট্রিট, অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া, দুটি জায়গাতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল এমনকি কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নিল। আমহার্স্ট স্ট্রিটে বিজেপির মিছিল পৌঁছাতেই দেখা যায় সেখানে লাঠি এবং ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। এমনকি পুলিশের সামনেই তারা সেগুলি নিয়ে বিজেপির মিছিলের দিকে তেড়ে আসেন বলে অভিযোগ উঠছে। একইসঙ্গে বিজেপির মিছিলে ইট ছুড়ে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
এদিন ঋষিকেশ পার্ক থেকে লেবুতলা পার্ক পর্যন্ত বিজেপির মিছিল ছিল। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় সব্যসাচী দত্ত বিজেপির অন্যান্য রাজ্য নেতারা। সেখানেই লাঠি এবং ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করা এবং ইট-পাথর ছুড়ে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বিজেপি অভিযোগ করছে, নিয়ম মেনে এবং অনুমতি নিয়ে মিছিল করা হয়েছে তা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে হামলা করা হয়েছে এবং পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। যদিও তৃণমূল জানাচ্ছে, বিজেপির মিছিলের জন্যই ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছে।
অন্যদিকে, কাঁচরাপাড়া এলাকা রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। সেখানে বিজেপি শিবিরের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে বিজেপি রাস্তায় বসে অবরোধ শুরু করে, পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এদিন নোয়াপাড়া বিধানসভা এলাকা থেকে কাঁচরাপাড়ার দিকে যাচ্ছিল সেই রথযাত্রাটি। পুলিশের বক্তব্য, অনুমতি ছাড়াই রথযাত্রা করছিল বিজেপি শিবির। তাই ব্যারিকেড ভেঙ্গে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি অভিযোগ করেছে যে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। বেশ খানিকটা সময় পর পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে। উল্লেখ্য, দিন কয়েক উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় বিজেপি রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।