কলকাতা: সকাল থেকেই বাম সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে শহর কলকাতা। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে ডরিনা ক্রসিং এলাকা। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ তারা মিছিল থেকে ফুটবল, কমলালেবু, ইট এই সমস্ত ছুড়ছে। পাল্টা বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখনও ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। পুলিশের লাঠিচার্জে বহু বাম যুব কর্মীরা আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অনেককেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।
বামেদের মিছিল যাতে নবান্ন পর্যন্ত না পৌঁছাতে পারে তার জন্য অনেক আগে থেকেই ব্যাপক পুলিশি প্রহরা বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ডোরিনা ক্রসিংয়ে তাদের মিছিল আটকে দেওয়া হয়। এর পরেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস সালের অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে সকালে নির্ধারিত সময়ের আগেই নবান্ন পৌঁছে গিয়েছিলেন কয়েকজন ডিওয়াইএফআই কর্মী। তাদের সেখানে আটকে দেয় পুলিশ এবং সব মিলিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে তারা। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই গ্রেফতারীকে কেন্দ্র পরে পুলিশ-বিক্ষোভকারী খন্ড যুদ্ধ বাঁধে।
এদিন অভিযান শুরুর আগেই দশটি বামযুব সংগঠনের কয়েকজন নবান্নের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। স্লোগান দিতে দিতে নবান্নের উত্তর দিকের গেট দিয়ে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ৷ দ্রুত তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ এদিন সকাল থেকেই মিছিল আটকাতে বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, ‘হাল ফেরাও, লাল ফেরাও’ স্লোগান তুলে কর্মসংস্থান, শিক্ষা-সহ একগুচ্ছ দাবিকে সামনে রেখে এই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ১০টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। বামেদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, আজকের এই নবান্ন অভিযান এর কথা কমপক্ষে দেড় মাস আগে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্মসূচির ব্যাপারে কোনরকম সাহায্য করেনি কলকাতা পুলিশ। উল্টে এখন অভিযান সফল করার জন্য বাম কর্মী এবং সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হচ্ছে।