কেমন চলছে টাকির বিসর্জন পর্ব? ইছামতীর বুকে মিলল দু’বাংলা?

বসিরহাট: দেশ ভাগ হয়েছে৷ পৃথক হয়েছে সংসার৷ কিন্তু আজও ভাঙেনি রক্তের টান৷ এখনও অটুট সেই সংস্কৃতি৷ কাঁটাতারের বেড়া জালে দেশের সীমানা ভাগাভাগি হয়ে গেলেও আজও টাকির ইছামতী দুর্গা বিসর্জন অন্যতম আকর্ষণ৷ দু’দেশের মধ্যে সেই আকর্ষণ আজও অব্যাহত থাকলেও প্রশাসনিক নিয়মের বেড়াজালে আজও বিভক্ত দশমীর দুই বাংমলার মিলন৷ টাকি ইছামতীতে বিসর্জন পর্ব শুরু হয়ে গেলেও এবারও

কেমন চলছে টাকির বিসর্জন পর্ব? ইছামতীর বুকে মিলল দু’বাংলা?

বসিরহাট: দেশ ভাগ হয়েছে৷ পৃথক হয়েছে সংসার৷ কিন্তু আজও ভাঙেনি রক্তের টান৷ এখনও অটুট সেই সংস্কৃতি৷ কাঁটাতারের বেড়া জালে দেশের সীমানা ভাগাভাগি হয়ে গেলেও আজও টাকির ইছামতী দুর্গা বিসর্জন অন্যতম আকর্ষণ৷ দু’দেশের মধ্যে সেই আকর্ষণ আজও অব্যাহত থাকলেও প্রশাসনিক নিয়মের বেড়াজালে আজও বিভক্ত দশমীর দুই বাংমলার মিলন৷

টাকি ইছামতীতে বিসর্জন পর্ব শুরু হয়ে গেলেও এবারও মিলতে পারল না শুধু বাংলা৷ দুই দেশের তরফে প্রশাসনিক বেড়াজালের গেরোয় দুই দেশের প্রতমার নৌকার মধ্যে প্রায় ১০০ ফুটের দুরত্ব রাখার ঘোষণা করা হয়েছে৷ সেই মতো চলছে নজরদারি৷ মাঝ নদী বরাবর লাল সুতোর ব্যারিকেড গড়ে তোলা হলেও আজ দশমীর দিনে ঐতিহ্যের বিসর্জন চলছে৷ তবে প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া এলাকার মধ্যেই৷

টাকিতে বিসর্জন দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন হাজার-হাজার পর্যটক৷ ইতিমধ্যেই দুই দেশের তরফে দেবী দুর্গাকে নৌকায় বসিয়ে শুরু হয়েছে বিসর্জন পর্ব৷ ঢাক বাজিয়ে, ধুনুচি নাচে, সিঁদুল খেলা চলছে চলছে নৌকায়৷ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ইছামতীর নদীর উপর মিলে যেত দুই বাংলা৷ দু’দেশের প্রতিমা নৌকা করে একে ইছামতীর বুকে চলত আলিঙ্গন৷ চলত বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পালা৷ ইছামতির বুকে মিলে যেত দুই বাংলা৷ কিন্তু সেই নিয়মে ভাটা পড়েছে৷

কেমন চলছে টাকির বিসর্জন পর্ব? ইছামতীর বুকে মিলল দু’বাংলা?

আজ বিকেল ছ’টা পর্যন্ত এই বিসর্জন চলবে৷ তবে ওপারে যাওয়ার অনুমতি মিলছে না৷ বাংলাদেশের জলসীমা লাগোয়া ব্যারিকেড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে৷ বাংলাদেশি নৌকাগুলিও ১০০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে৷ প্রশাসনের তরফে করা নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও নৌকায় দেবী দুর্গার নিরাঞ্জন যাত্রা ঘিরে শুরু হয়েছে নয়া উদ্দীপনা৷ বিসর্জন উপলক্ষ্যে জারি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ রয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা৷ ওয়াচ টাওয়ার৷ সাদা পোশাকের পুলিশ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ দর্শকদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর৷ ইছামতীতে বিসর্জন উপলক্ষ্যে দুই দেশের মিলন না হওয়ায় কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে উৎসবে আনন্দে৷ তবুও দেবী দুর্গাকে বিদায় জানিয়ে চলছে আগামীর প্রস্তুতি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *