কলকাতা: বাকি পুরসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেলেও সেই ঝুলেই রইল হাওড়ার ভোটে ভাগ্য। বিল সই নিয়ে বিতর্ক এখনও বহাল। এদিকে, বিল সংক্রান্ত বিষয়ে যে ভুল হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্য। অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছেন, ”আমি সওয়ালে বলেছিলাম হাওড়া বিলে সহি হয়নি। পরের দিন আমি বালির রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে বলি। লিখিত বয়ান দেখে ভেবেছিলাম সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। রাজ্যপালও হয়তো সই করে দিয়েছেন।” পাশাপাশি তিনি হলফনামার জন্য সময় দাবি করেছেন।
এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এজিকে প্রশ্ন করেন, ”আপনি যে তারিখ দিয়েছিলেন সেটা তো প্রস্তাব। ফাইনাল নয়?” তাতে সম্মতি জানান এজি। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছিল ২২ জানুয়ারি হাওড়া পুরসভার নির্বাচন হবে। কিন্তু বাদ দেওয়া হয়েছে। আদালতকে মিথ্যা বলা হয়েছে। তার উত্তরে এজি জানান, এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। হাওড়া ও বালি নিয়ে যে ভুল সওয়াল করেছিলাম, যা অর্ডারে লিপিবদ্ধ হয়েছে। সেই বিষয়ে আমি হলফনামা জমা দেব প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশেনে হাওড়া-বালি পুরসভার বিভাজন প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়ে যায়। কিন্তু বিলটি রাজ্যপালের সইয়ের জন্য পাঠানো হলে জগদীপ ধনকড় তাতে সই করতে চাননি। পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় এখন হাওড়া ভোট অনিশ্চিত।
সম্প্রতি অবিলম্বে হাওড়ায় পুরভোট চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে৷ পুর নির্বাচন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়৷ কেন হাওড়া পুরনিগমকে বাদ রেখে ভোট হবে৷ বালি পুরসভাকে আলাদা করার বিলে কেন বিভ্রান্তি? প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল৷ প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে হাওড়া পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে৷ তার পর থেকে প্রশাসক বসিয়ে হাওড়া পুরসভার কাজ চলছে৷