কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করার জেরে দল থেকে বহিষ্কারের শিকার হয়েছেন হাওড়া সদরের জেলা সভাপতি তথা বিজেপির দাপুটে নেতা সুরজিৎ সাহা৷ স্বাভাবিকভাবেই, হাওড়া তো বটেই এই নিয়ে দলের অন্দরেও শুরু হয়েছে চর্চ্চা৷ কারণ, আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুরভোট হবে হাওড়া কর্পোরেশনে৷ স্বাভাবিকভাবেই, ২৮ বছরের নির্বাচিত বিজেপি কাউন্সিলর সুরজিতকে বহিষ্কার পুরভোটে দলকে ধাক্কা দিতে পারে বলেই মনে করছেন দলেরই একাংশ৷
এমন দাবি যে অমূলক নয়, তা পরোক্ষে মেনে নিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও৷ বিজেপি নেতা সুরজিৎ সাহাকে বহিষ্কার করা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ঠিক আছে। পার্টির ডিসিপ্লিন একশন হয়েছে। পার্টির ডিসিপ্লিন ভাঙলে পার্টি ব্যবস্থা নেবে। সেটাই হয়েছে৷’’ তবে নেতার বহিষ্কার সাময়িকভাবে পুরভোটে প্রভাব ফেলতেও পারে কি না প্রসঙ্গে মেনে নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘পার্টি একটা সিস্টেমে কাজ করে৷ হাজার হাজার কার্যকর্তা কাজ করছেন। এক একজনের সমস্যা হতেই পারে৷ এর আগে অনেকেই পার্টি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে কিছু প্রভাব পড়লেও এটা নিয়ে পার্টি খুব একটা চিন্তা করে না। যারা বুথ স্তরের কার্যকর্তা তারা লড়াই করে পার্টিকে জেতাবেন৷’’
এরপরই নিজস্ব স্টাইলে দিলীপ মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দলের মধ্যে একটা অসন্তোষ আগে থেকেই আছে।’’ ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘‘যখন নির্বাচন হয়েছে তারপর অনেকেই চলে গিয়েছেন। আস্তে আস্তে ওটা স্বাভাবিক হচ্ছে। মনের মধ্যে সকলের সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বহু লোক এসেছে, বহু লোক চলে গিয়েছে। সেইজন্যে অনেকের ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেক কিছু কথাবার্তা বলছে।’’ যদিও এদিনও হাওড়ার বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা সুরজিৎ বলেছেন, ‘‘আমি দল বিরোধী কোনও মন্তব্য করিনি৷ উনি (শুভেন্দু) হাওড়ার কয়েকজন নেতার সঙ্গে তৃণমূলের যোগসাজশ নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন৷ তারই জবাব দিয়েছি৷’’