কলকাতা: বিপুল জনাদেশ নিয়ে বাংলায় ক্ষমতা দখলের পর তৃণমূলের পাখির চোখ এখন দিল্লির মসনদ৷ আর দিল্লি দখলের পথে তাদের ‘ফাস্ট স্টপেজ’ ত্রিপুরা৷ সর্বশক্তি নিয়ে ত্রিপুরা জয়ে ঝাঁপাতে চলেছে ঘাসফুল শিবির৷ কিন্তু বৃহত্তর লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়ার আগেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় মুখ পুড়ল তৃণমূল সরকারের৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশকে মান্যতা দিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন- রাজ্য পুলিশকে নিয়ে গঠিত SIT-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না সরকার, নির্দেশ হাইকোর্টের
বারবার রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি৷ এমনকী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন খোদ রাজ্যপাল৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি করে এসেছেন, ভোটের পর রাজ্যে কোনও অশান্তি হয়নি৷ সবটাই হয়েছে প্রি-পোল৷ এমনকী জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পক্ষপাত দুষ্ট বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছিল রাজ্য৷ NHRC-র রিপোর্টে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলেও আদালতে উল্লেখ করেছিলেন অভিষেক মনু সিংভি৷ কিন্তু রাজ্যের কোনও যুক্তিই যে ধোপে টেকেনি, এদিনের রায়ই তাঁর সবচেয়ে বড় প্রমাণ৷
কিন্তু প্রশ্ন হল দিল্লি দখলের পথে আদালতের দরজায় তৃণমূল যে হোঁচট খেল, আগামী দিনে দলের পরিকল্পনায় তার কতটা প্রভাব পড়বে? ত্রিপুরায় জয়ের পথ কতটা কণ্টকময় হয়ে উঠবে? কারণ সে রাজ্যে ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি৷ আর কলকাতা হাইকোর্টে রায় কার্যত বিজেপি’র দাবিকেই স্বীকৃতি দিয়েছে৷ যা ভোট ময়দানে বিজেপি’কে নিশ্চিত ভাবেই ফায়দা দেবে৷
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা: হাইকোর্টের রায়ে নাখুশ সৌগত, মানুষ বিচার পাবে, বললেন দিলীপ
এদিকে ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই বলে যখন চিৎকার শুরু করেছে তৃণমূল৷ কিন্তু রাজনীতির কারবারিরা বলছে, এবার পশ্চিমবাংলার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘খেলতে’ নামবে গেরুয়া শিবির৷ স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি’র অস্ত্র হবে বাংলার তৃণমূল শাসনে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা৷ ফলে ত্রিপুরা দখলের জমি যে মসৃণ হবে না, তা বলাই বাহুল্য৷ আর ত্রিপুরা. ধাক্কা খেলে দিল্লি দখলের পথও কঠিন হবে৷