ফাঁসফাঁস গরমে গনগন করে দিন-রাত চলছে পাখা৷ চলছে কুলার৷ এসিও৷ অস্বস্তির গরম থেকে কিছুটা রেহাই মিললেও চওড়া হচ্ছে বিদ্যুতের বিল৷ কিন্তু, পাখা, কুলার, এসে ছাড়া তো স্বস্তি মেলা সম্ভব নয়৷ প্রতিদিনের ব্যবহারের সব কিছুই প্রায় ইলেকট্রিক-নির্ভর৷ তাই এখানে রইল ৬টি পদ্ধতি, যা মানলে অনেকটাই কমানো যাবে বিদ্যুতের খরচ।
অপ্রয়োজনে আলো জ্বালাবেন না, ফ্যান চালাবেন না। কাজ মিটিয়ে ঘর থেকে বার হওয়ার সময়ে অবশ্যই আলো, ফ্যানের সুইচ অফ করুন। বিশেষ করে, টয়লেটের আলো অনেক সময়ে প্রয়োজন ছাড়াই জ্বলতে থাকে। খেয়াল রাখুন। ফ্রিজের দরজা বেশিক্ষণ খোলা রাখবেন না।
টিভি হোক বা সাউন্ড সিস্টেম, কম্পিউটার, কোনও কিছুই কাজ হওয়ার পরে খুলে রাখবেন না। অন্যান্য ইলেকট্রিক গ্যাজটসেরও পাওয়ার অফ করুন কাজ মিটলেই। বারবার খোলা বন্ধ করতে কিছুটা সময় বেশি খরচ হতে পারে কিন্তু তাতে পয়সা খরচ অনেকটাই কমে।
আপনার এসি মেশিন একবার সার্ভিস করিয়ে নিন। ছোটখাট সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। এসি-র ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এখানে জমে থাকা ধুলো ঘর ঠান্ডা করতে বেশি সময় নেয়। তাতে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে।
যে ঘরে এসি আছে, সেখানে বেশি জিনিসপত্র না থাকাই বাঞ্ছনীয়। ঘরটি পুরোপুরি এয়ার টাইট হচ্ছে কিনা নজর রাখুন। এসি চালানোর আগে দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরকে কিছুটা শীতল করে নিন। এসি চালানোর পরে দরজা, জানালা বার বার খুলবেন না। টানা এসি না চালিয়ে ঘর ঠান্ডা হওয়ার পরে ফ্যান চালিয়ে দিন।
দুপুরের দিকে না হলেও বিকেলে বা সকালের দিকে বাইরের হাওয়া ঘরে ঢুকতে দিন। বাড়ির যে দিকের দেওয়ালে বেশি রোদ লাগে, সেই দিকের ঘরে এসি লাগাবেন না। যেহেতু ফ্যান বেশি চালাতে হচ্ছে সেহেতু আলোয় খরচ কমান। যতটা সম্ভব কম আলো জ্বালুন।
সাধারণ আলো নয়, ব্যাবহার করুন সিএফএল বা এলইডি আলো। এতে কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। প্রায় ৭৫ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ কমবে। বাড়ির ফ্যান বেশি পুরনো হলে বদলে ফেলুন। এখনই কিছুটা খরচ হলেও মাসে মাসে খরচ কমবে।