কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের রহস্য মৃত্যুতে গ্রেফতার হয়েছে প্রাক্তন এক ছাত্র সৌরভ চৌধুরী। সে শুধু যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্র নন, হস্টেল আবাসিকও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হস্টেলে যে ‘গেস্ট’ হিসাবে থাকা যায়, সে কথা স্বপ্নদীপ এবং তাঁর বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডু জানতে পারেন সৌরভের মাধ্যমেই। কিন্তু তার সঙ্গে তাদের আলাপ হল কী করে? কেনই বা প্রথম আলাপে সৌরভকে বিশ্বাস করলেন তারা, উঠছে প্রশ্ন। যদিও এই নিয়ে তথ্য দিয়েছেন খোদ মৃত ছাত্রের বাবা।
নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর সৌরভের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে চায়ের দোকানে। জানা গিয়েছে, রামপ্রসাদের এক কথাতেই স্বপ্নদীপকে যাদবপুরের মেন হস্টেলে রাখতে রাজি হয়ে যায় যাদবপুরের হস্টেলের ‘দাদা’ বলে পরিচিত সৌরভ। পুলিশ জানতে পেরেছে, চায়ের দোকানেই সৌরভ রামপ্রসাদকে বলেছিল, হাজার টাকা দিলেই ছেলে থাকতে পারবে হস্টেলে। যদিও পুরো বিষয়টি অবৈধ বলেই জানা গিয়েছে কারণ স্বপ্নদীপের নাম হস্টেলের রেজিস্ট্রার খাতা বা আবাসিকদের তালিকায় ছিল না। এমনকি ওই ছাত্রের হস্টেলে থাকার ব্যাপারেও কেউ জানত না। এক্ষেত্রে সৌরভ সম্পর্ক পুলিশ জেনেছে, সৌরভ মেস কমিটির পাণ্ডা হওয়ার কারণে নিজের ক্ষমতা দেখাতেন।
স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর এও জানা গিয়েছে, সৌরভের ‘নির্দেশ’ মেনেই হস্টেলের ১০৮ নম্বর রুমের মনোতোষ মণ্ডলের অতিথি হয়ে ৬৮ নম্বর রুমে অর্থনীতির দ্বিতীয় বর্ষের কল্লোল ঘোষ ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের অভিজিৎ লাইয়ার রুমমেট হয়ে থাকছিল মৃত ওই ছাত্র। তাঁদের সামনেই স্বপ্নদীপ বিবস্ত্র হয়ে লাফ দেয় বলে অভিযোগ। তবে পরিবারের একটাই দাবি, সৌরভ নির্দোষ এবং তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।