কলকাতা: প্রকাশ্য দিবালোকে দিল্লির আদালতে শ্যুট আউটের ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে৷ নিরাপত্তাপ বেড়াজাল ভেঙে কী ভাবে ঘটে গেল এত বড় একটা ঘটনা? ভাবাচ্ছে অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও৷ অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে এই অবস্থায় কতটা সুরক্ষিত কলকাতা হাইকোর্ট?
আরও পড়ুন- ভারতকে তালিবান বানাতে দেব না! হুঙ্কার মমতার
জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে ভিতরে এবং বাইরে মোতায়েন রয়েছে মোট ৩১২ জন পুলিশ৷ তার মধ্যে অফিসির ইনচার্জ বা ওসি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন ৩ জন৷ এসি পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন একজন৷ কলকাতা হাইকোর্টে মোট ৭টি গেট রয়েছে৷ এর মধ্যে ‘এ’ গেট দিয়ে ঢোকেন বিতারপতিরা৷ ‘বি’ গেটটি ব্যবহার করেন আইনজীবীরা৷ ‘সি’ গেট দিয়ে আসা যাওয়া করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী, সরকারি আমলারা৷ ‘ই’ গেট দিয়ে আদালতে প্রবেশ করেন মামলাকারীরা৷ তবে করোনা পরিস্থিতিতে মাত্র ৩টি গেট খোলা রয়েছে৷ ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ই’৷ প্রতিটি গেটে রয়েছে ম্যান স্ক্যানার৷ কলকাতা হাই কোর্টের নিরাপত্তা কমিটিতে রয়েছেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, সৌমেন সেন, সুব্রত তালুকদার, অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, শম্পা সরকার ও রেজিস্টার জেনারেল অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- আপনি কী ভাবছেন, তাও জেনে নেবে ওঁরা, আশঙ্কা মমতার
ফলে নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠলে বলা যেতেই পারে, অনেকটাই সুরক্ষিত হাইকোর্ট৷ কড়া বেষ্টনীতে ঘিরে রাখা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টকে৷ এই বেষ্টনী ভেঙে ভিতরে ঢোকা প্রায় অসম্ভব৷ দিল্লি আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি কলকাতা হাইকোর্টে৷ তবে জেলা আদালতগুলিতে নিরাপত্তার কিছুটা খামতি রয়েছে৷ সেখানে নিরাপত্তার ফাঁক গলে অঘটন ঘটানো অসম্ভব নয়৷ এমনটাই মনে করেন আইনজীবীদের একাংশ৷