রেশন থেকে কী হারে আটা সরাতেন বাকিবুররা? টাকা আসত কোন হিসাবে? উত্তর নিয়ে ধন্ধে ইডি

রেশন থেকে কী হারে আটা সরাতেন বাকিবুররা? টাকা আসত কোন হিসাবে? উত্তর নিয়ে ধন্ধে ইডি

flour

কলকাতা: রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তদন্তকারী অফিসারদের হাতে৷ তাঁরা জানতে পেরেছেন, সরকারি অর্থ কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নিলেও রেশন সরবরাহের সময় হিসাব মিলত না। প্রতি ১ কেজি আটার দামে কম করে ২০০ গ্রাম কম আটা দিতেন আটা কলের মালিকেরা। চাল এবং আটা কলের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য জানতে পেরেছেন ইডি-র কর্তারা৷ তাঁরাই জানিয়েছেন, কখনও কখনও ৪০০ গ্রাম পর়্ন্ত আটা সরিয়ে নেওয়া হত। অর্থাৎ ১ কেজি আটার মূল্য দেওয়া হলেও, সরকারি সরবরাহকারীরা হাতে পেতেন ৬০০ গ্রাম আটা। তবে এই গরমিল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল দু’পক্ষই। গোটা চক্রটা চলব মিল মালিক এবং সরকারি সরবরাহকারীদের অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়ার ভিত্তিতে। ন্যায্য মূল্যে কম আটা বুঝে নেওয়ার জন্য ভাল দামও পেতেন রেশনের সরকারি সরবরাহকারীরা। যদিও বৃহস্পতিবার সকালে বাকিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য পাওয়া গেল, তা অন্য কথা বলছে। 

বাকিবুরের বক্তব্য, আটা সরানো হত ঠিকই, তবে তা ২০-৪০ শতাংশ হারে নয়। খুব বেশি হলে ৫-১০ শতাংশ আটা সরানো হত। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে খুব বেশি হলে ১০০ গ্রাম। রেশনের কয়েকশো কেজি আটা থেকে এই হারে আটা সরিয়ে, তা বাজার জাত করা হয়। সেখান থেকে যে লাভ হল তা ৮০:২০ অনুপাতে সরবরাহকারী এবং মিল মালিকদের মধ্যে ভাগ হয়ে যেত। বাকিবুরের কথায়, তাঁর মতো মিল মালিকেরা ওই অর্থের মাত্র ২০ শতাংশ পেতেন।  ৮০ শতাংশ লাভই নিয়ে যেতেন রেশন সরবরাহকারীরা। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত অন্য মধ্যস্থতাকারীদের পকেটেও যেত মোটা অঙ্কের টাকা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *