খয়রাশোল: সন্ত্রাসের বদ্ধভূমি৷ খুনের রাজনীতির আঁতুর ঘর বলে প্রায় অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা৷ লোকসভা ভোটের মুখে বিরোধীদের সেই অভিযোগ ডাকতে মাঠে নামলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ লোকসভা ভোটে বীরভূমে একটি খুন হবে না বলে রবিবার সাফ জানিয়ে দিলেন স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল৷
খয়রাশোলে দলের ব্লক ও অঞ্চল সভাপতিদের উদ্দেশ্যে অনুব্রতর স্পষ্ট বার্তা, ‘‘সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। ভোটের আগে একজন মানুষও যেন খুন না হন, তা আমাদের দেখতে হবে৷’’ খুনের রাজনীতির বদ্ধভূমি বলেই পরিচিত খয়রাশোলে খুনের রাজনীতি কিভাবে বন্ধ করবেন? সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, “খুনের রাজনীতি পচ্ছন্দ করি না। যারা করে ঠিক করে না। কারোর তো প্রাণ যায়। কেউ তো বিধবা হয়। কোন মায়ের তো কোল শূন্য হয়। তবে আমি বলতে পারি বীরভূমে লোকসভা ভোটে একটি মানুষও খুন হবে না। মানুষ খুন না হওয়ায় বীরভূম পুরস্কার পাবে কমিশনের কাছে৷’’
ঝারখন্ড সীমান্ত লাগোয়া বীরভূমের প্রত্যন্ত ব্লক খয়রাশোল। কয়লার অধিকার কার দখলে থাকবে তা নিয়ে খুন এখানকার নিত্য সঙ্গী। তৃণমূলের তিনজন ব্লক সভাপতি খুন হয়েছেন। এই ব্লকেই ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শেষবার সভা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বছর ঘোরার পর সেই সন্ত্রস্ত ব্লকের অঞ্চল ও বুথস্তরের কর্মী সম্মেলন করলেন অনুব্রত। রবিবার সম্মেলনের শুরুতেই প্রথম ডাক পরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ বাবুইজোড়ের অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রহমানের। তাকে উদ্দেশ্য করেই কেষ্টর সাফ কথা, ‘সবাইকে নিয়ে চলবি। খয়রাশোল ব্লকে যেন খুন না হয়৷’ এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূলের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা। পারশুন্ডির অঞ্চল সভাপতিকে ডেকে তার নির্দেশ, “এখানে তো কিছু ভুল বোঝাবুঝি আছে। সবাইকে ডেকে নাও। এক জায়গায় বসো সবাইকে নিয়ে।” যে বড়রা এলাকায় বোমা বারুদের লড়াই নিত্যদিনের ঘটনা সেখানকার অঞ্চল সভাপতি হাজির হতেই অনুব্রত বলেন, “এখানটাও একটু গোলমেলে জায়গা। একে নেবো ওকে নেবনা করলে চলবে না।”