কলকাতা: রাজ্যে তেমন প্রভাব না ফেলতে পারলেও কয়েকটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর জেরে ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, আগামী দু-একদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এদিন বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ কাটলেও তার রেশ রয়েই যায়। উদ্ধারকাজ আগামী দু-একদিনের মধ্যে শেষ হবে’। বিবৃতিতে তিনি জানান, অনেক ইলেকট্রিক পোল ভেঙে গিয়েছে। গাছ পড়ে গিয়েছে। ১২টি কাঁচা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে এবং প্রায় ৮০০ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার সেই সব বাড়ি তৈরি করে দেবে।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফনি বাংলায় আছড়ে পড়ার পর পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে ফোনালাপ সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে কেন্দ্র যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি বলে রাজ্যপালকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন বলে নিজেই ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷
এর আগে ফনি পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে আগাম ২৩৫ কোটি টাকার অনুদান পাঠিয়েছে কেন্দ্র৷ ঘূর্ণিঝড় ফনি আছড়ে পড়ার আগেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকেও এক হাজার কোটি টাকার বেশি অনুদান দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাজস্থানে এক নির্বাচনী জনসভায় একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আয়লা হোক বা বন্যা, যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরেই কেন্দ্রীয় অনুদান নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে রাজ্যগুলি। নির্বাচন চলাকালীন যাতে এই সমস্যা না হয় সেজন্য ফনির পূর্বাভাস পেয়ে আগেভাগেই এই বরাদ্দ রাজ্যগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগের সময় সরকার মানুষের পাশেই রয়েছে, এদিন সেই বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
Spoke to Shri Keshari Nath Tripathi Ji, the Governor of West Bengal on the situation due to Cyclone Fani. Reiterated the Centre’s readiness to provide all help needed to cope with the cyclone. Also conveyed my solidarity with the people of Bengal in the wake of Cyclone Fani.
— Chowkidar Narendra Modi (@narendramodi) May 4, 2019
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে জানান, ৮২৫টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এখনও বিদ্যুৎহীন বেশ কিছু এলাকা৷ দিঘা, মন্দারমণির পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে৷ ফনির তাণ্ডবে ১২টি বাড়ি ভেঙেছে৷ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
ফনির পূর্বাভাসে বাংলায় বড় ক্ষতির আশঙ্কা ছিল৷ কিন্তু, দানব ফনি দুর্বল হওয়ায় বেঁচে গিয়েছে বাংলার একাধিক জেলা৷ ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে শহর কলকাতা৷ আপাতত নদীয়ার ও মুর্শিদাবাদে রয়েছে ফনি৷ ফনির প্রভাব না পড়লেও স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন পরিষেবা, ওড়িশা দিয়ে কোন ট্রেন চলছে না, দক্ষিণ ভারতগামী অধিকাংশ ট্রেন আজও বন্ধ।