‘কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়’, প্রয়াত লোকসংগীত শিল্পী অমর পাল

আজ বিকেল: জন্মদিনের ঠিক একমাস আগে চলে গেলেন প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী অমর পাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। আগামী ১৯ মে শিল্পীর জন্মদিন। প্রথিতযশা এই শিল্পী সারাজীবন ধরে উপহার দিয়ে গিয়েছেন কালজয়ী ভাটিয়ালি ও লোকগান। লোকসঙ্গীতের আঙিনায় তিনি ছিলেন একজন বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। সত্য়জিৎ রায়ের ছবি ‘হীরক রাজার দেশ’-এ তাঁর ‘গান কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়’ চিরস্মরণীয়

‘কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়’,  প্রয়াত লোকসংগীত শিল্পী অমর পাল

আজ বিকেল: জন্মদিনের ঠিক একমাস আগে চলে গেলেন প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী অমর পাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। আগামী ১৯ মে শিল্পীর জন্মদিন। প্রথিতযশা এই শিল্পী সারাজীবন ধরে উপহার দিয়ে গিয়েছেন কালজয়ী ভাটিয়ালি ও লোকগান। লোকসঙ্গীতের আঙিনায় তিনি ছিলেন একজন বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। সত্য়জিৎ রায়ের ছবি ‘হীরক রাজার দেশ’-এ তাঁর ‘গান কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়’ চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে।

বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় জন্ম হলেও অমরবাবু স্বাধীনতার পরে ৪৮ সাল নাগাদ কলকাতায় চলে আসেন। শৈশবে বাড়িতেই চলেছে সংগীত শিক্ষার আসর। শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নিয়েছিলেন তাঁর মায়ের কাছে। পরে উস্তাদ আলাউদ্দিন খানের ছোট ভাই, আয়াত আলি খানকে গুরু মেনে তাঁর সংগীতচর্চা শুরু হয়। বাংলায় লোকসংগীতকে জনপ্রিয় করা শিল্পীদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন অমর পাল। লোকশিল্পী হিসেবে তাঁর গানই প্রথম  আকাশবাণীতে সম্প্রচারিত হয়, সালটা ১৯৫১।

সংগীত-নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার-সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লালন পুরস্কার, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিলিট উপাধিও রয়েছে এই গুণী শিল্পীর ঝুলিতে। তবে পুরস্কার যতই বড় হোক প্রাণোচ্ছল সাদাসিধে মানুষটির সঙ্গে মাটির যোগাযোগ বেশিই ছিল। তাঁর কণ্ঠে ভাটিয়ালি শুনলে প্রাণ কেঁদে ওঠে। এখনও শিল্পীর গাওয়া গান মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *