দিঘা: টানা লকডাউনে এমনিতেই পর্যটকদের দেখা নেই৷ তারওপর প্রশাসনের কড়াকড়ি৷ যখন তখন হোটেলে ঢুকে নাকা চেকিং করছে পুলিশ৷ ফলে ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড়৷ এই অভিযোগকে সামনে রেখে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য হোটেল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা৷
হোটেল মালিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দু’একদিনের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁরা দেখা করবেন। অসুবিধার কথা জানাবেন। যদি কোনও সুরাহা না মিলে তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য হোটেল বন্ধ রাখবেন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, দিঘা, তাজপুর, শঙ্করপুর, মন্দারমণি সহ পর্ষটন কেন্দ্রে প্রায় বারোশো হোটেল রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের অতি সক্রিয়তার জেরে কার্যত ব্যবসা লাটে উঠেছে৷ ফলে সৈকত নগরীর একাধিক এলাকায় পর্যটক শূন্য৷ পর্যটক না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন হোটেল মালিকরা। হোটেলের ইলেকট্রিক বিল ও কর্মচারীদের বেতন দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
আরও পড়ুন- তৃণমূল কর্মীর খুনের জট ছাড়াতে ঘটনাস্থলে খোদ পুলিশ কমিশনার
তাঁদের কথায়, গত কয়েকদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছিলেন। সৈকত নগরী দিঘার বেড়াতে আসতে শুরু করেন পর্ষটকরা। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৈকত নগরীতে বেড়াতে আসা সমস্ত পর্যটকদের করোনার ডাবল ভ্যাকসিন ও করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। এই নির্দেশ পাওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেলগুলোতে নাকা তল্লাশি শুরু করেন। পরে বেশ কিছু হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ প্রশাসনের এই অতি সক্রিয়তার জেরে তাঁদের ভাতঘরে লাথি পড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন হোটেল মালিকেরা৷ তাঁদের অভিযোগ, নাকা চেকিংয়ের জেরে সৈকতে পর্যটক শূন্য হয়ে যাচ্ছে৷