কলকাতা: রাজ্য সরকার কোভিড-19 এর জন্য হাসপাতালে যে বেডের কথা বলছে, তা মিথ্যা কথা। সাফ মতামত রাজ্য বিজেপির। বিজেপির মনে, হাসপাতাল গুলিতে সেই পরিমান শয্যা বা বেড নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত রাজ্য সরকার যে বেডের কথা বলছে, তার সঙ্গে বাস্তব চিত্রের আকাশপাতাল তফাৎ। কেন এই তফাৎ হচ্ছে? রাজ্য বিজেপির দাবি, আর পিছনেও রাজ্য সরকারের বড় অভিসন্ধি রয়েছে। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা বলেছেন, ” যতবেশি আসন রাজ্য সরকার দেখাবে, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে তত বেশি টাকা পাবে। অর্থাৎ কোভিড-19 এর সজ্জা থেকেও থেকেও টাকা রোজগার করতে হবে রাজ্য সরকারকে?”
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে বেশি কিছু ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই চরম অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে থেকে রোগীকে ফিরিয়ে দিতে চাওয়া হয়েছে। রোগীর বাড়ির লোক আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগী 'রেফারে'র ফলে ঘুরতে হয়েছে। পরিশেষে রোগী বাঁচেনি। কিন্তু, রাজ্য সরকার এবং তার মুখপত্ররা বারবার বলেছে, রাজ্যে পর্যাপ্ত কোভিড বেড রয়েছে।
রাহুল মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন, হাসপাতালে কতগুলি কোভিড বেড আছে, কতগুলি ভর্তি আছে, কতগুলি খালি আছে এবং কতগুলি বিশেষ কারণে রিজার্ভ করে রাখা আছে তা 'ডিসপ্লে বোর্ডে' দেখিয়ে দিতে হবে। সরকার যদি ট্রান্সপারেন্সি চায়, সরকারের যদি অন্য কোনও মতলব না থাকে তবে ডিসপ্লে বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হোক। এতে রোগীর, সরকারের লাভ হবে। হাসপাতালের যন্ত্রনা কমবে।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজে কড়া সমালোচনা করেন রাহুল। কিছুদিন আগেই তিনি বলেছেন, করোনা মহামারী নিয়ে ছেলেখেলা করার জন্য, তথ্য লুকানোর জন্য, সমস্ত তথ্য গোপন করবার জন্য এবং অমানবিক নীতি নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সহ তিন রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভর্ৎসনা শোনার পরেও চৈতন্য হবে না। কারণ এরা কান কাটা। কান কাটা চলে বাজারের মাঝখান দিয়ে। এই সরকার এর আগেও ভর্ৎসিত হয়েছে। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনা করা হয়েছে।