কোথায় লকডাউন? হুগলিতে জমজমাট বাজার

কোথায় লকডাউন? হুগলিতে জমজমাট বাজার

হুগলি: অক্ষয় তৃতীয়ার সকাল কিংবা সোমবার, হুগলির জায়গায় জায়গায় দেখা গেল দোকান খোলা, ক্রেতারা দরদাম করছেন, দেদার চলছে অটো-টোটো। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠল, তবে কি লকডাউন শেষ হল! চন্দননগরের দোকানদারদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ীই দোকান খোলা হয়েছে। আবার ব্যবসায়ীদেরই অধিকাংশের বক্তব্য, প্রশাসনের নির্দেশ নিয়ে বিভ্রান্তির জন্য কেউ কেউ হয়তো দোকান খুলেছেন।

যদিও সূত্রের খবর, রাজ্য প্রশাসন এখনও পর্যন্ত সব দোকান খোলার নির্দেশ দেয়নি।রবিবার হুগলির পান্ডুয়ায় দেখা যায় একই দৃশ্য। জুতো, পোশাক, বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দোকান খোলা। চলছে অটো-টোটো। একটি গয়নার দোকানের মালিক জানান, ‘‘টিভির খবরে দেখেই দোকান খুলেছি।’’ একই দাবি অধিকাংশ দোকানের মালিকের।

শ্রীরামপুর, কোন্নগর, উত্তরপাড়ায় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ছোট দোকান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ী সংগঠনের অভিযোগ, বড় বিপণিগুলি রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী সংগঠন জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে রবিবার প্রশাসনের নির্দেশে বেলা ১২টার পরে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। হুগলির জেলাশাসক রত্নাকর রাওয়ের মতে, ‘‘কন্টেনমেন্ট এলাকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকার কথা। নজরদারি চলবে সর্বত্র। জমায়েত দেখলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

হুগলির ভিন্ন ভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় পুলিশবাহিনীর তরফে মাইকে ঘোষণা করা হয়, লকডাউনের মাঝে পাঁচ জনের বেশি জমায়েত যেন না হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার আবহে শ্রীরামপুর, কোন্নগর, উত্তরপাড়ায় দোকান খুলেছে বলে খবর সূত্রের। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরেও কিছু দোকান খোলা খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পদক্ষেপ নেয়। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর জানান, “বিচ্ছিন্ন ভাবে এদিক-ওদিকে কিছু দোকান খুলেছে। আমরা রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।”

হুগলি চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বসু একটি সাক্ষাৎকারে জানান, ‘‘ব্যবসায়ীদের বিভ্রান্তির জন্যেই ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় দোকান খোলা হয়েছে। তবে প্রত্যেককেই বুঝতে হবে, এই কঠিন পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশকেই সমর্থন করা হবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *