চুঁচুড়া: কাজের নাম করে নিয়ে গিয়ে এক মহিলার হাত-পা বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠলো দুই যুবকের বিরুদ্ধে। নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে একতলা বাথরুমের জানালা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর জখম ওই মহিলা। ওই মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই মহিলার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পেশায় রং-মিস্ত্রী ওই মহিলাকে সানি মাইতি(মুন্না), হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানা এলাকার চাঁদমারিতে জনৈক আরতি সরকারের বাড়িতে রং-এর কাজ আছে বলে নিয়ে যায়। সোমবার সকালের দিকেই ওই বাড়িতে পৌঁছান মহিলা। এরপর দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর হঠাৎই ঘড়ের দরজা বন্ধ করে দেয় মুন্না। তখনই ওই ঘরে চলে আসে মুন্নার আর এক শাগরেদ রোহিত জয়সওয়াল। মহিলার অভিযোগ তারা দুজন তাঁর হাত-পা বেঁধে দেয়। চুঁচুড়া হাসপাতালের বেডে শুয়ে ওই মহিলা বলেন অনেক অনুরোধ করার পর তাঁর পায়ের বাঁধন খুলে তাঁকে বাথরুমে যেতে দেয়।
নিজেকে বাঁচাতে নির্মীয়মান ওই বাথরুমের খোলা জানালা দিয়ে নীচে ঝাঁপ দেয় মহিলা। বাইরে থাকা অন্যান্যরা ওই মহিলাকে পরে যেতে দেখে প্রথমে বেলুর হাসপাতাল এবং পরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করেন। এবিষয়ে নিশ্চিন্দা থানায় করা অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন রাতেই অভিযুক্ত মুন্না ও রোহিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পর কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় চু্ঁচুড়া জুড়ে।
জখম ওই মহিলা মগরা থানার অন্তর্গত সপ্তগ্রামের ছোট খেজুড়িয়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে জখম ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। অভিযুক্ত দুই যুবককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।