আলিপুর: করোনা সন্দেহে এক রোগীকে চিকিৎসা? শাস্তি হিসেবে এবার কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ৷ বৃহস্পতিবার লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে খাস দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়৷
ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ, করোনা রুখতে যখন চিকিৎসকদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করার আর্জি জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরা, তখন অশোভনীয় আচরণ করছেন গৃহকর্তা৷ করোনা সন্দেহে আসা রোগীকে চিকিৎসা করার দায়ে ঘরের চাবি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷ আর তাতেই বাধ্য হয়ে ভাড়া বাড়িতে জিনিসপত্র ফেলে রেখে দমদমে বাড়ি ফিরতে হয়েছে ওই চিকিৎসককে৷ গোট ঘটনার কথা জানাজানি হতেই যথেষ্ট শোরগোল হয়েছে কুলপি থানা এলাকায়৷ ঘটনায় বেশ সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন৷ এ নিয়ে গৃহকর্তাকে ডেকে ইতিমধ্যেই ধমক দেওয়া হয়েছে৷ ভুল স্বীকার করে বাড়ি মালিক ওই মহিলা চিকিৎসককে থাকতে দেবেন বলে প্রশাসনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷
জানা গিয়েছে, গত ১০ মাস কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার পদে যোগ দিয়েছেন ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ৷ কুলপি থানার ঠিক উল্টোদিকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি৷ গৃহকর্তার সঙ্গে তাঁর পূর্ব পরিচয় রয়েছে৷ জানা গিয়েছে, গত শনিবার কুলপি হাসপাতালে একজন রোগী সেখানে চিকিৎসা করাতে যান৷ প্রাথমিকভাবে করোনা সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ সোমবার ভোরে ওই রোগীর মৃত্যু হয় আরজি কর হাসপাতালে৷ করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ বলে রিপোর্ট এলেও গুজব রটে যায়৷ ওই রোগীকে চিকিৎসা করার দায়ে ঘরছাড়া হতে হয় ওই চিকিৎসককে৷