ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ১০ বছর কারাদণ্ড গৃহশিক্ষকের

বারাসত: বাগদায় নাবালিকা ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের অপরাধে পকসো আইনে গৃহশিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বনগাঁ মহকুমা আদালত। শুক্রবার বিকালে এই আদালতের বিশেষ পকসো কোর্ট তথা অতিরিক্ত ও জেলা দায়রা বিচারক (প্রথম) বিদ্যুৎকুমার রায় এই সাজা ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও ছ’মাসের জেল। পুলিস জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত

ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ১০ বছর কারাদণ্ড গৃহশিক্ষকের

বারাসত: বাগদায় নাবালিকা ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণের অপরাধে পকসো আইনে গৃহশিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বনগাঁ মহকুমা আদালত। শুক্রবার বিকালে এই আদালতের বিশেষ পকসো কোর্ট তথা অতিরিক্ত ও জেলা দায়রা বিচারক (প্রথম) বিদ্যুৎকুমার রায় এই সাজা ঘোষণা করেন।

সেই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও ছ’মাসের জেল। পুলিস জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম গণেশ ওরাং। বাগদা থানার কাপাসআটি এলাকায় তার বাড়ি। মাত্র দেড় বছরের মাথায় এই সাজা ঘোষণা হল।

এই মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী সমীর দাস বলেন, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল। সেই সময় নাবালিকা ছাত্রীর বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। তখন গৃহশিক্ষক গণেশের বয়স ছিল ২৪ বছর। ওই ছাত্রী কখনও গণেশের বাড়িতে পড়তে যেত। আবার কখনও গণেশ তাদের বাড়িতে গিয়ে পড়াত। ’১৭ সালের আগস্ট মাসে গণেশ একদিন টিউশন ছুটি দিয়ে অন্য ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

কেবলমাত্র ওই ছাত্রীকে থাকতে বলে। ওইদিন গণেশের বাড়িতেও কেউ ছিল না। সেই সুযোগে গণেশ তাকে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীকে হুমকি দিয়েছিল, যাতে সে বাড়ির কাউকে না বলে। কয়েকদিন পর ওই ছাত্রীর বাড়িতে পড়াতে গিয়ে একইভাবে গণেশ তাকে ধর্ষণ করে। ওইদিন ছাত্রীর বাড়ির লোকজন কেউ ছিলেন না। এভাবে আরও কয়েকবার সে গৃহশিক্ষকের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *