বাড়িতে নয়, করোনার চিকিৎসা হাসপাতালেই! নয়া নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

বাড়িতে নয়, করোনার চিকিৎসা হাসপাতালেই! নয়া নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

কলকাতা: রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো যে জনসংখ্যার অনুপাতে নগন্য তা কারো অজানা নয়! এবার কার্যত রাজ্যের করোনা মোকাবিলার পরিকাঠামোর অপ্রতুলতার কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! একই সঙ্গে বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হলে বাড়িতে থেকেই তার চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রয়োজনে টেলি মেডিসিনের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়া নির্দেশিকায় তৈরি হয়েছে চরম বিভ্রান্তি৷

নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা রোগীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির বাড়িতে জায়গা থাকলে তিনি উপযুক্ত সতর্কতা নিয়ে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারবেন৷ তবে, করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা বাধ্যতামূলক৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি!

মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বলেন, ‘সরকারের পক্ষে তো সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব নয়। কেউ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করতে চাইলে করতে পারে৷ হোম কোয়ারেন্টাইনটা সবচেয়ে ভাল৷ লক্ষ লক্ষ মানুষকে কোয়ারেন্টাইন করা যায় না৷ সরকারেরও সীমাবদ্ধতা আছে৷’ তাঁর আরো সংযোজন, ‘যার থাকার জায়গা আছে, ঘর আছে, তার করোনা সংস্পর্শে এলেও নিজের বাড়িতেই আইসোলেটেড থাকতে পারেন৷ ঘরে থাকলে নিজের মতো ভাল থাকতে পারবেন৷ সারা পৃথিবীতে এমনটাই চলছে। জায়গা না থাকলে, একটা ঘরে ১০ জন থাকলে, তাদের জন্য সরকার ব্যবস্থা করবে। সবার জন্য করতে পারে না সরকার৷ বাড়িতে থাকলে কী কী মেনে চলা দরকার, তার একটা গাইডলাই দিয়ে দেবে সরকার৷’

সোমবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জারি নির্দেশিকায় স্পষ্ট  করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা রোগীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির বাড়িতে যদি জায়গা থাকলে, তাহলে তিনি উপযুক্ত সতর্কতা সহ বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারবেন৷ সেক্ষেত্রে কী কী করতে হবে, কী কী করা যাবে না, তাও নির্দেশিকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নির্দিষ্ট করে দেবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হবে৷ওই নির্দেশিকায় শেষ অংশে স্পষ্ট করা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাঁদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসবে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই বিধি কার্যকর হবে না৷ করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা বাধ্যতামূলক বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ও স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 6 =