‘মতুয়াদের ক্ষোভের কারণে বাংলা সফর বাতিল করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’

‘মতুয়াদের ক্ষোভের কারণে বাংলা সফর বাতিল করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’

 কলকাতা:  সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে ফের একবার আক্রমণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার সকালে তৃণমূল ভবনে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের উপস্থিতিতে একটি যোগদান সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রের নাগরিকত্ব আইনকে কটাক্ষ করে ব্রাত্য বলেন, কেন্দ্র সরকার দেশবাসীকে সিএএ’র মাধ্যমে প্রতারিত করেছে। এই প্রসঙ্গে বাংলায় মতুয়া সম্প্রদায়কে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কথাতেও বিজেপিকে আক্রমণ করেন ব্রাত্য বসু।

এদিন এই সাংবাদিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র বঙ্গ সফর বাতিলকে কটাক্ষ করে ব্রাত্য বসু বলেন, “মতুয়াদের জবাব দেওয়ার ভাষা নেই বলেই বাংলায় আসতে ভয় পাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷” এছাড়াও মঙ্গলবার সংসদে সিএএ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে নতুন সময়সীমা নির্ধারণকে কটাক্ষ করে ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজ্যসভায় সিএএ প্রণয়নের সময় দেওয়া হয়েছে ৯ এপ্রিল এবং লোকসভায় এই সময় দেওয়া হয়েছে ৯  জুলাই, যা বাংলার বিধানসভা নির্বাচন শেষের পর৷”  এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিএএ নিয়ে মানুষকে ধাঁধার মাঝে রেখে বাংলায় ভোট কুড়োতে চাইছে বিজেপি।

তাছাড়া এদিন সিএ বৈঠকে ব্রাত্য বসু মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বলেন, “বাংলায় মতুয়াদের উন্নয়নের কাজ যদি কেউ করে থাকে তা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷” এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, মতুয়াদের প্রত্যেককে ২০২০ সালে রাজ্য সরকার জমির অধিকারস্বরূপ পাট্টা বিতরণ করেছেন। এছাড়াও ব্রাত্য বকসু এদিন বলেন, “২০১৮ সালে মতুয়া উন্নয়নের খাতে মুখ্যমন্ত্রী ‘মতুয়া উন্নয়ন বোর্ড’ সহ আরো একটি বোর্ড স্থাপন করেন এবং যাদের মোট ১৫ কোটি টাকা দিয়েছেন৷” এছাড়াও ১৫ একর জমির উপর মতুয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঠাকুরণগর স্টেশন ও ট্রেন চালুর কথাও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরলেন ব্রাত্য বসু।

মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতি রাজ্য সরকারের দায়বদ্ধতা ও কাজের পাশাপাশি বিজেপি সরকারের তাদের প্রতি প্রতারণার কথা বলে ব্রাত্য বসু এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্যে এসে এইসব প্রশ্নের জবাব চেয়ে বলেন, “আমরাও দেখতে চাই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কবে এসে এইসব প্রশ্নের জবাব দিয়ে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে খোলসা করেন৷” ভোটের আগে সম্প্রতি বিজেপি’র উপর ক্ষুব্ধ হতে দেখা গিয়েছিল মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ এবং তাদের বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। এখন এটাই দেখার যে মতুয়া সন্তুষ্টির মাধ্যমে তাদের বিপুল ভোটের অংকে থাবা বসাতে কোন দল সক্ষম হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 5 =