কলকাতা: করোনা রুখতে লকডাউন জারি দেশ জুড়ে। এর ফলে সমস্যার মুখে পড়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। গণপরিবহন বন্ধ। দূর-দূরান্ত থেকে আসা গৃহসহায়িকারা যোগ দিতে পারছেন না কাজে। তাছাড়া আচমকাই লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় বেতনও পাননি অনেকে। এদিকে লকডাউনের সময়সীমা বেড়েছে। এই অবস্থায় সঙ্কটে পড়েছেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়েছেন গৃহসহায়িকারা। এই বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদনও জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ গৃহসহায়িকা ইউনিয়ন।
কাজে যোগ দিতে পারছেন না গৃহসহায়িকারা। সরকারের তরফে যাও রেশন পাচ্ছেন, তাও যথেষ্ট নয়। নগদ টাকাও নেই হাতে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা। হঠাৎ লকডাউন জারি হওয়ায় অনেকে গত মার্চ মাসের বেতনও পাননি। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ গৃহসহায়িকা ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, 'অনেকেই মার্চ মাসের বেতন এখনও পাননি। তাঁদের একটা বড় অংশ বেতন নিতে যেতে পারেননি। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা সমাজের এই অংশের জীবনযাত্রার উপর স্বাভাবিকভাবেই নেমে এসেছে ভয়ানক যন্ত্রণা।' এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কয়েকটি দাবির কথা জানিয়েছে সংঠনটি।
১৯ এপ্রিল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে সরকারকে। ন্যূনতম ৭,৫০০ টাকা করে মাথাপিছু যাতে দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়াও প্রতি পরিবার পিছু ৩৫ কিলোগ্রাম খাদ্যশষ্যও দাবি করা হয়েছে সংগঠনের তরফে। এমনকী, লকডাউনের সময়সীমা পেরলে তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই দিকটিও বিবেচনা করে দেখার আবেদন জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
গৃহকর্তাদের কাছেও আবেদন জানিয়েছে তারা। লকডাউনের জেরে কাজে যোগ দিতে পারেননি গৃহসহায়িকারা, এই বিষয়টি উল্লেখ করে বকেয়া বেতনের সঙ্গে চলতি মাসের বেতনও দাবি করা হয়েছে সংগঠনের তরফে। তাছাড়া যাঁরা এখনও কাজ করছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নিয়ম অনুসারে সুরক্ষার বন্দোবস্তও করা প্রয়োজন বলে মনে করে পশ্চিমবঙ্গ গৃহসহায়িকা ইউনিয়ন। মাস্ক, স্যানিটাইজারের কথা উল্লেখ করেছে তারা।