প্রণব-স্মরণে সংগ্রহশালা গড়বে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ

প্রণব-স্মরণে সংগ্রহশালা গড়বে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ

 নিজস্ব প্রতিনিধি, বোলপুর: বীরভূমের সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজে কেটেছে তাঁর কলেজজীবন। সদ্য প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত সেই কলেজে এবার তৈরি হচ্ছে তাঁর জন্য বিশেষ সংগ্রহশালা। ছাত্র অবস্থায় বেশ কয়েকবছর কাটিয়েছিলেন এই কলেজের ছাত্রাবাসে। কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সম্মানে সেই স্মৃতিকেই সংরক্ষণ করতে চলেছে। একসময়কার তাঁর বিচরণস্থল, তাঁর পড়াশোনা ও রাজনীতি চর্চার পীঠস্থান আগ্রহীদের দেখার জন্য সাজিয়ে তুলতে চায় কলেজ কর্তৃপক্ষ।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে একথা জানিয়েছেন তাঁরা। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৬ সাল- এই কয়বছর বীরভূমের সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছাত্রজীবন কেটেছে। স্নাতকস্তরের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। থাকতেন কলেজের হোস্টেলে। সেই রবীন্দ্র ছাত্রাবাস এখনও বর্তমান। তার স্মৃতি বিজড়িত বটগাছ আজও দাঁড়িয়ে। তবে সেই সেই সময়ের কলেজ কক্ষ এখন ভগ্নাবশেষ। এবার সেই সবকিছুকে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রণববাবুর বিভিন্ন শংসাপত্র সংরক্ষণ করা হবে। রাজনীতির শিখরে ওঠার পর বেশ কয়েকবার নিজের কলেজে এসেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সেসময় তিনি যে চেয়ারে বসেন সেই চেয়ার, সই করা ভিজিটর বুকসহ বিভিন্ন জিনিস ওই সংগ্রহশালায় স্থান পাবে। এছাড়াও কারো কাছে যদি প্রণব বাবুর কোনো বিশেষ স্মৃতিজড়িত জিনিস থাকে তা সংগ্রহশালাতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

প্রণববাবু যখন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারপার্সন ছিলেন সেইসময় সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজকে তিনি অনুদান দেন। অনুদানে নির্মিত হয়েছিল বর্তমান অরবিন্দ ভবন। ২০০ সাল নাগাদ সেই ভবনের উদ্বোধন করতে আসেন প্রণববাবু। সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের বর্তমান অধ্যাপক তপনকুমার পরিছা বলেন, প্রণববাবু যে সময়ে কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন সেই সময়কার কলেজের একটি কাঠামো এখনও রয়েছে। সেটিকে মেরামত করে আগের মতই করে তোলা হবে পাশাপাশি তার স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে সংগ্রহশালা তৈরি করে সাজানো হবে। এক শিক্ষাবিদ, সুকৌশলী রাজনীতিবিদ, বিদগ্ধ অর্থনীতিবিদ তথা কলেজের প্রাক্তনীকে এর থেকে আর কীভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পারে তাঁর পুরনো কলেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *