কাকদ্বীপ: সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার৷ আগত পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে হোগলা পাতা দিয়ে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল গঙ্গাসাগরে৷ মেলা শেষ হতেই রাতের আঁধারে সেই হাসপাতাল পুড়ে ছাই হয়ে গেল রহস্যজনকভাবে৷ ঘটনার পিছনে অন্য কোনও ঘটনা আছে কি না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন৷
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন পুলিশ জেলার কাকদ্বীপ লট নং ৮ এর কাছে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী হাসপাতাল। বিধ্বংসী আগুন সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেল হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি সেই অস্থায়ী হাসপাতাল।ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও তার আগেই ক্ষতি হয়ে গিয়েছে৷ লক্ষাধিক টাকার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
কী কারণে আগুন লেগেছে তার তদন্ত শুরু করেছে দমকল। স্থানীয় সূত্রে খবর, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল এই অস্থায়ী হাসপাতাল৷ ১০ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত গঙ্গাসাগর মেলার জন্য পূণ্যার্থীদের চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছি। রবিবার রাতে হঠাৎ স্থানীয়রা আগুন দেখতে পায়৷ স্থানীয়দের প্রাথমিক প্রচেষ্টায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তার বৃথা যায়৷ খবর দেওয়া হয় কাকদ্বীপ দমকল বিভাগকে৷ ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে৷ ততক্ষণ সব শেষ হয়ে গিয়েছে৷ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে হোগলা পাতার তৈরি ওই অস্থায়ী হাসপাতাল।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মেলা শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য এই হোগলা পাতার তৈরি অস্থায়ী হাসপাতলে কোনও রোগী ছিল না। কেউ না থাকার জন্য প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি এমনটাই জানিয়েছে সুন্দরবন পুলিশ জেলা পুলিশ। তবে ঠিক কি কারণে এই অগ্নিকাণ্ড তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷