মেদিনীপুর: ‘দাদার অনুগামী’র পর মেদিনীপুর জুড়ে এবার ‘দাদার সাথী’ পোস্টার৷ শুভেন্দু অধিকারীর পর দলের অন্দরে বেসুরো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর গলায় অসন্তুষ্টির সুর৷ এদিন মেদিনীপুরে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে দেখা যায় রাজীবের নামে হোর্ডিং৷ তাঁর ছবির সঙ্গে কোথাও লেখা রয়েছে ‘দাদার সাথী’ কোথাও আবার ‘দাদার পাশে আমরা’৷
আরও পড়ুন- এবার কি হবে কলকাতা বইমেলা? কাঁটা হবে করোনা? কী বলছে গিল্ড?
সম্প্রতি একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায়, দলের অন্দরে কাজ করার সুযোগ নেই৷ যাঁরা ঠাণ্ডা ঘরে বসে থাকে তাঁরাই রয়েছেন প্রথম সারিতে৷ ক্ষুব্ধ রাজীবের মান ভাঙাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাসভবনে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল৷ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর৷ তাঁর উপস্থিতিতেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন বনমন্ত্রী৷ জানা গিয়েছে ওই বৈঠকে দলের একাংশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন রাজীব৷ স্তাবকতা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷ তবে দল ডাকলে তিনি ফের আসবেন বলেও জানান৷ তবে বরফ এখনও গলেনি৷ জট কাটাতে ফের বৈঠকের সম্ভবনাও রয়েছে৷ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান সম্ভব বলেও ইঙ্গিত দেন বনমন্ত্রী৷ তবে এর মাঝেই মেদিনীপুরে তাঁর নামে হোর্ডিং পড়ায় অস্বস্তিতে শাসক দল৷
আরও পড়ুন- প্রশাসনের মদতে মরছে সুন্দরবন! সুন্দরী রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের
যদিও পৃথকভাবে তাঁরা নামে কে বার কারা হোর্ডিং দিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেই উল্লেখ করেছিলেন রাজীব৷ তাঁর কথায়, শুভেন্দুর বিষয়টা ভিন্ন৷ উনি ওঁর মতো, আমি আমার মতো৷ এই পোস্টার দেওয়াকে আমি সমর্থন করি না৷ এদিকে জোড় জল্পনা ১৮ বা ১৯ তারিখে বিজেপি’তে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ ১৯ ডেসেম্বর বাংলায় আসছেন অমিত শাহ৷ গতকাল অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নাম করেই আক্রমণ শানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের সাংসদ৷