কলকাতা: ফুটবল খেলাকে রাজ্যজুড়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার আগামীকাল খেলা হবে দিবসের সূচনা করতে চলেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীকাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির সূচনা করবেন৷ এইজন্যে কভিড বিধি মেনে রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিদের সেখানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এক লক্ষ ফুটবল বিতরণ করা হবে৷
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অভাবনীয় সাফল্যই জানিয়ে দিয়েছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগানের জনপ্রিয়তা। আর সেই কারণেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পুরনো স্লোগানেই ভরসা রাখছে ঘাসফুল। যার জন্য, জাতীয় স্তরে খেলা হবে স্লোগানকে প্রোমোট করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে তৃণমূল৷ রাজনৈতিক পদক্ষেপের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফেও পালন করা হচ্ছে খেলা হবে দিব৷ খেলা হবে দিবসকে জনপ্রিয় করতে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় ‘খেলা হবে’ গানও বেঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
তবে, খেলা হবে দিবসের দিনক্ষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ কেননা, ১৬ অগস্ট বাংলার বুকে লেখা হয়েছিল রক্তাক্ত ইতিহাস৷ ১৯৮০ সালের ১৬ অগস্ট ইডেন গার্ডেন্সে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বির ঘিরে তৈরি হয় অশান্তি৷ পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১৬ জনের৷ ডার্বির উত্তেজনা গড়িয়েছিল গ্যালারিতে৷ বিশৃঙ্খলায় মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের৷
এছাড়াও, ১৯৪৬ সালের ১৬ অগস্ট বাংলার রাজনীতিতে লেখা হয়েছে আরও একটি রক্তাক্ত ইতিহাস৷ খাস কলকাতায় ছড়িয়ে পড়েছিল দাঙ্গা৷ ১৯৪৬ সালের এই ঘটনা ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস’ নামে পরিচিত৷ বহু ইতিহাসবিদ তাঁদের কলেমে জানিয়েছিলেন, বাংলা তথা গোটা উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্পর্কের ধারণায় একটা বাঁক এনেছিল এই ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসে’র ঘটনা৷ কলকাতায় সাম্প্রদায়িক হিংসায় যত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, যত সম্পত্তি ধ্বংস হল, অতীতে তার নজির মেলে না বলে মনে করেন বহু ইতিহাসবিদ৷