কলকাতা: বিজেপি নেতা এবং অসমের অর্থ, স্বাস্থ্য তথা একাধিক দফতরের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবার সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে। ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসা প্রবাহিত হয়েছে। হিমন্ত বুধবার ফেসবুকে লিখেছেন, বাংলা জ্বলছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচার চলছে। ঘৃণার বাতাবরণ। আহত ধীরেন সাহা (৪৫) সহ ২১ কোচবিহার থেকে বিকাল ৫টায় শ্রীরামপুরে এসেছেন। ফালিমারী এবং রামপুর গ্রামের ভয়ার্ত বাসিন্দাদের অসমের এমজিআর এম ই স্কুলে রাখা হয়েছে। তাদের কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। লজ্জার বিষয়, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলার শাসন আজ যেন মস্করা।
বুধবার, ৫ মে রাজভবনে শপথ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রথম কাজ কোভিড নিয়ন্ত্রণ। দ্বিতীয় কাজ হিংসা দমন, আইন-শৃঙ্খলা সঠিক পথে চালিত করা। তবে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর সাফ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুন তার হাতে ক্ষমতা ছিল না, তিনি সংবিধান অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারতেন। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন সারা দেশে চর্চার বিষয়। খুন-জখম নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী রাজপালকে ফোন করেছেন। টুইট করেছেন। যদিও, সমস্ত বিষয়ে রাজনীতি দেখছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, যেসব এলাকায় অন্য রাজনৈতিক দল জিতেছে, সেখানে গন্ডগোল হচ্ছে। উনি স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপিকে ইঙ্গিত করেছেন। কিন্তু, নিজের কথার মাধ্যমেই তিনি একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন যে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে।
এরই মাধ্যমে বিজেপি শাসিত অসম সরকার দাবি করে, পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া জেলাগুলি থেকে মানুষ পালিয়ে অসমে আশ্রয় নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনওয়াল ৪মে টুইট করে জানান – পশ্চিমবঙ্গ থেকে কয়েকশো লোক রাজনৈতিক হিংসার স্বীকার হয়ে অসমে প্রবেশ করেছে। অসমের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি’কে খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।