নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ভোজন রসিক বাঙালির প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে পদ্মাপাড়ের ইলিশ ঢুকল বাংলায়। তিস্তার জল ভাগ প্রভাব ফেলেছিল দুই বাংলার ইলিশ বাণিজ্যে। এর জেরে দীর্ঘ সাত বছর পদ্মার ইলিশ পাতে পড়েনি বঙ্গবাঙালির। ২০১৮ সালে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে ৫০০ টন ইলিশ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার৷ তারপর মাঝে আবারও একটি বছর এই রূপোলি শস্যের স্বাদ আর ঘ্রাণের অপেক্ষায় দিন কেটেছে পশ্চিমবঙ্গবাসীর। কিন্তু এবছর ফের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মোট দেড় হাজার টন ইলিশ আসার কথা রয়েছে বাংলাদেশ থেকে। সেই অনুযায়ী, সোমবার থেকেই পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে ধাপে ধাপে শুরু হল ইলিশ রপ্তানি। এদিন সন্ধ্যায় দুটি ট্রাকে ১২ টন ইলিশ এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। এই মরশুমে বর্ষার শুরুতে বৃষ্টি কম থাকায় দীঘার ইলিশও সেভাবে পাতে পড়েনি বঙ্গবাসীর। সেখানে পদ্মার ইলিশ তো কল্পনা। তবে সেই কল্পনা এবার বাস্তব।
এদিকে আর মাত্র মাসখানেক পরেই মা আসছেন। কিন্তু করোনার দুশ্চিন্তায় এবছর মায়ের আগমনী বার্তায় সেই অর্থে নাড়া দিচ্ছে না বাঙালির মন। চিরাচরিত আমেজ যেন অনেকটাই ফিকে। তবে দূর্গা পূজোর আনন্দে করোনা বাধ সাধলেও, পেট পুজোয় তো আর বাধা নেই। আর সেখানে পুজোর দু-এক দিন পাতে যদি থাকে পদ্মার ইলিশ তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু পদ্মার ইলিশের দাম নিয়ে মাছ ব্যবসায়ীরা যা শোনালেন তাতে মধ্যবিত্ত বাঙালির সাধ্যে যদিওবা থাকে, নিম্নবিত্তের রসনাতৃপ্তি সেই অর্থে সাধ্যের বাইরে। কারণ তাঁদের কথায় পদ্মার ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০টাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। তবে আরও ইলিশ বাজারে এলে অন্তত উৎসবের কটাদিন সকলেরই সাধ্যের মধ্যে স্বাদ পূরণ হোক সেই আশাতেই মুখিয়ে এখন আমবাঙালি।