ক্যানিং: লকডাউন কাটিয়ে শুরু হয়েছে অনলক ২৷ লকডাউনের খরা রাটিয়ে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা দিতে শুরু করেছে ইলিশের ঝাঁক৷ ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি, পুবালি বাতাসে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা দিচ্ছে ইলিশ৷ অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় মনে করা হচ্ছে, এবার খরা কাটিয়ে কম-বেশি ইলিশ ধরা পড়বে৷ পড়েছেও৷
মৎস্যজীবীদের আশা, যেভাবে বর্ষা নেমেছে, তাতে সাগরে ইলিশ ধরার আবহাওয়া তৈরি হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা৷ উপকুলে ফেরা ট্রলারের মৎস্যজীবীদের মুখে সেই আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে৷ ফলে, সবকিছু ঠিকঠাক চললে, জেলা ও শহরের বাজারে সাগরের টাটকা ইলিশের হাপিত্যেশ শেষ হতে চলেছে৷
পরিসংখ্যান বলছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অধিকাংশ মানুষ মাছের পেশায় যুক্ত৷ ১৯টি ব্লকের কয়েক লক্ষ মানুষ শুধু ইলিশকে ঘিরে অন্নসংস্থান করে থাকেন৷ মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর ১৫ জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাগরে ইলিশের মরশুম৷ গত বছর ওই সময়ে ইলিশ ওঠেনি৷ এবার ৩ মাসের লকডাউনে সাগরে দূষণ কমেছে৷ ফলে, মাছের দেখা মিলতে পারে বলেও মনে করছেন মৎস্যজীবীরা৷ বাজারে মাছের আকাল চলছে৷ দাম ঊর্ধ্বমুখী৷ বিপুল আশা নিয়ে ১৫ জুন থেকে ইলিশ ধরতে ৯ হাজারের বেশি ট্রলার গভীর সমুদ্রে চলে গিয়েছে৷ যদিও গত ১০ দিন খারাপ আবহাওয়ার জন্য কেউ সাগরে যেতে পারেনি৷ অবস্থান উন্নতি হতেই ফের শুরু হয়েছে ইলিশ অভিযান৷