কলকাতা: ক্যানসারে আক্রান্ত শিক্ষিকাকে মানসিক নির্যাতনে অভিযুক্ত খোদ স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এই মামলায় সেই প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ, নির্দিষ্ট এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিনের পর স্পেশাল লিভ বা বিশেষ ছুটি পাওয়া থেকে শিক্ষিকাকে বঞ্চিত করেছেন। যার দরুণ ২০০৯ সালের রোপা আইন অনুযায়ী সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষিকা। এমনকি তাঁর বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে।
আরও পড়ুন- দিঘার সৈকতে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন মদন মিত্র, ভাইরাল ভিডিও
হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া মহাত্মা গান্ধী হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন সুনীতা শর্মা। তবে শুধু এইসব অভিযোগে থেমে নেই বিষয়টি। জানা গিয়েছে, শিক্ষিকার গ্রেড পে বৃদ্ধির বিষয়টিও চেপে গিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। ২০১৬ সাল থেকে তিনি বঞ্চিত হচ্ছেন এবং সেই বছরই দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসা করাতে গেলে তার ক্যানসার ধরা পড়ে। জানা যায়, তিনি ব্ল্যাড ক্যানসারে আক্রান্ত। বর্তমানে টাটা ক্যানসার সেন্টারে তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার জন্য স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই কিছু না জানিয়েই শিক্ষিকার বেতন থেকে ৮ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিক তাঁকে বলেন, স্কুলে দেরি করে আসায় তাঁর টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এদিকে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ক্যানসারের মত মারণ রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে সবেতন বিশেষ ছুটির সুবিধা রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ একাধিবার সেই ছুটির জন্য আবেদন করলেও তিনি বঞ্চিত হয়েছেন।
এইসব সহ্য করার পরেই বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষিকা। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বিষয়টি শুনানির জন্য এলে শিক্ষিকার আইনজীবীৱ রনজিৎ চৌধুরির গোটা বিষয়টি বিচারপতির সামনে উত্থাপন করেন। ঘটনার বিবরণ শুনেই রীতিমত ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই বুধবার ওই প্রধান শিক্ষককে সশরীরে এজলাসে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।