কলকাতা: ঘনার অপহরণ হয়েছে, কিন্তু পুলিশ সেইভাবে কাজ করছে না! এই অভিযোগ উঠেছে। আর ঘনার অপহরণ মামলায় এদিন কলকাতা হাইকোর্ট বড় নির্দেশ দিয়েছে নদীয়া জেলার পুলিশ সুপারকে। অপহরণ হওয়া ঘনার খোঁজ করতে হবে তাঁকেই। অনেকেই ভাবছেন ঘনা হয়তো কোনও মানব শিশু। কিন্তু আসলে তা নয়। এই ঘনা হল এক বরাহ, পাতি বাংলায় শূকর। কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরেই সে থাকত। চার বছর বয়স তার।
আরও পড়ুন- ভারতের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা এখনও ৩০ বছরের নীচে!
হাইকোর্টের আইনজীবীদের খুবই প্রিয় ছিল এই ঘনা। সকলে তাকে খাবার দিত, সেখানের সারমেয়দের সঙ্গেও মিলেমিশে থাকত সে। কিন্তু গত ২৫ মার্চ থেকে তার দেখা মিলছে না। তার নিখোঁজ হওয়ার আগে ওই জায়গায় এক সাদা গাড়ি দেখা গিয়েছিল। সে গাড়ি করেই তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এই ঘটনার এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তা থেকেই তা স্পষ্ট। এই ঘটনায় আইনজীবীদের একাংশ কল্যাণী থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল কিন্তু তাতে লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরেই ৬ জন আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি শম্পা সরকার পুলিশের ভুমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন! কারণ এখনও পর্যন্ত ঘনার খোঁজ দিতে পারেনি পুলিশ। তাদের তদন্তেও সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি। আদৌ কি পুলিস তত্পর? প্রশ্ন উঠেছে হাইকোর্টে।
শুক্রবার মামলা শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশ্য প্রশ্ন করেন, কেন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ অ্যানিমেল অ্যাক্টে অভিযোগ আনা হল না? আবেদনকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে যে গাড়িতে ঘনাকে অপহরণ করা হয়েছে, সেই গাড়ির ভিডিয়ো থাকলেও, কেন অপহরণকারীরা চিহ্নিত হয়নি? এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন, অবিলম্বে কল্যাণী থানার তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নদিয়ার পুলিশ সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চলবে। পাশাপাশি এদিন মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি সরকার।
আরও পড়ুন- ‘দুর্নীতি’-র পাকে SSC! অস্বচ্ছতা রুখতে পরীক্ষা পদ্ধতিতেই বড় বদল আনতে চলেছে কমিশন
মামলার বয়ান অনুযায়ী, গত ২৫ মার্চ বিকেল ৫ টা ৩০ নাগাদ একটি সাদা গাড়ি ঢোকে আদালত চত্বরে। সেই গাড়ি থেকে নেমে আসে ৪ জন। তারাই ঘনাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি ধরা পড়েছিল। কল্যাণী থানায় অভিযোগ করেন আইনজীবী অনুমিতা ভদ্র। মামলাও হয় কল্যাণী এসিজেএম আদালতে। বিচারক নির্দেশ দেন যেভাবেই হোক ঘনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু এখন ঘনার হদিস মেলেনি এখনও। এরপরই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।