কলকাতা: জামিন অধরাই থেকে গেল এসএসসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এদিনের মামলার শুনানিতে অত্যন্ত কড়া পর্যবেক্ষণ দেয় আদালত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে, যোগ্যদের বঞ্চিত করা হয়েছে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিয়ে।
আরও পড়ুন- পুরি-সব্জি দিয়ে প্রাতরাশ, রাতে বেগুনপোড়া, থানার খাটে ‘নিশ্চিন্তে’ ঘুম কেষ্টর
এদিনের মামলার শুনানিতে সুবীরেশের আইনজীবীর দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের আমলে নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। পরে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরও ছিলেন। কিন্তু বিচারপতির বক্তব্য, এই বিষয় নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। কারণ সুবীরেশ ভট্টাচার্য ভারতের রাষ্ট্রপতির ভাইস চ্যান্সেলর নন। একই সঙ্গে তাঁকে উদ্দেশ্য করে আদালতের প্রশ্ন ছিল, কেন তিনি এতদিন সচেতন হননি? এখন যা অভিযোগ উঠছে তা তাঁরা কী ভাবে এড়িয়ে যেতে পারেন? আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, অযোগ্যদের হাতে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার ভার তুলে দেওয়া হয়েছে৷ আগামী প্রজন্মকে অনিশ্চিতয়ার দিকে ঠেলে দেওয়া চরম প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়।
এদিকে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে৷ তদন্তকারীদের দাবি, নম্বরে গড়মিল করে নিজের ভাগ্নেকেও চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন সুবীরেশের ভাগ্নে, সেই তথ্য জানতেই এদিন নিজাম প্যালেসে তলব করা হয় সুবীরেশের ভাগ্নেকে। অন্যদিকে এও জানা গিয়েছে, এসএসসির ওয়েবসাইটেও নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে।