কলকাতা: হুগলি নদীর ভাঙনের গ্রাসে গোটা স্কুল। জিরাট খোয়রামারি স্কুলের পরিস্থিতি নিয়ে এবার গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের। নতুন স্কুল ভবন তৈরি সংক্রান্ত মামলায় পঞ্চায়েত প্রধানকে কড়া ধমক দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আসলে ওই স্কুলের এক অসুস্থ ছাত্রের চিকিৎসা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিচারপতি ক্ষোভ উগড়ে দেন।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের আসনে বসতে আপত্তি নেই শিশিরের, পরোক্ষে নিজেই জানালেন সেকথা
স্থানীয় বাসিন্দারা আগেই দাবি করেছিল যে, স্কুল নিয়ে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আজ সেই প্রশ্ন পঞ্চায়েত প্রধানকে করেন বিচারপতি কিন্তু তিনি সেইভাবে কোনও উত্তর দিতে পারেনি। অসুস্থ ছাত্রের ব্যাপারেও তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাতেও তিনি কিছু বলতে পারেননি। এতেই ক্ষুব্ধ হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেন, ওই ছাত্রের মা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান কিনা জানেন? উত্তরে প্রধান জানান, তিনি জানেন না। এরপরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, ”আপনারা আছেন কী করতে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পায় কিনা খোঁজও নেননি? কিসের এত প্রচার? এটা লজ্জার বিষয়। আপনদের জন্য সমস্ত সামাজিক প্রকল্প মার খায়। খোঁজ নিয়ে রিপোর্ট করবেন। ভোটের সময় ভোট গুলো চাই, ভোটের পরে কাউকে চিনি না!” তিনি আরও বলেন, লক্ষ্মী ভাণ্ডারের মতো জনমুখী প্রকল্প মার খাচ্ছে সরকারি আধিকারীদের উদাসীনতার কারণে।
নদী ভাঙনের জেরে ওই স্কুল প্রায় ধ্বংসের পথে। আতঙ্ক এমন বেড়েছে যে অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে যেতেও দিচ্ছেন না। যখন-তখন কিছু একটা বিপদ হয়ে যেতে পারে। আগেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে চেয়ারম্যান জেলা প্রাইমারি স্কুল ও জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।