কলকাতা: ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি-সহ চারটি বিষয়ে লঙ্ঘিত হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি৷ এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলার রায়ে আদালত নির্বাচন কমিশনকে একাধিক প্রশ্ন করে। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়, অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে। আজ কমিশন আদালতে রিপোর্ট জমা করে জানিয়েছে, কর্মসূচির বিষয়টি গত ১৫ জুন কমিশনের নজরে আসার পরেই তড়িঘড়ি সেটা বন্ধ করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই ইস্যু ছাড়াও ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয় নিয়ে আদালতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচটি জায়গাকে স্পর্শকাতর এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে আদালতে দাবি করা হয়, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচটি জায়গা নয়, পুরো জেলাকেই স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে বিবেচিত করতে হবে। এই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, এ বিষয়ে আইজি বিএসএফ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে যে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ছিল তার হেল্পলাইন নম্বরেই চালু হয়েছিল এই কর্মসূচি। দলীয় কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কী ভাবে সরকারি কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। যদিও পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়৷