কলকাতা: লক্ষ্মী পুজোর দিন অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল কলকাতার একবালপুর, মোমিনপুর এলাকায়। একবালপুর থানা ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই ডিসি-সহ ৫ জন আহত হন। সেই ঘটনার জল কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। এবার একবালপুরের ঘটনায় পুলিশি তদন্তের ত্রুটিতে বিস্ফোরক কলকাতা হাইকোর্ট। বোমাবাজির অভিযোগ উঠলেও কেন এনআইএ-এর ধারা মামলায় যুক্ত করা হয়নি? প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন- মানিকের মামলায় হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট, ইডি হেফাজতেই থাকতে হবে তৃণমূল বিধায়ককে
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে সরাসরি তৃণমূল সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। আদালতও রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেছে। রাজ্য কী পদক্ষেপ নিয়েছে নাগরিক নিরাপত্তায়, এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রয়োজনে পুলিশ কমিশনারকে তলবেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানির আগে একগুচ্ছ ত্রুটি সম্পর্কে লিখিত জবাব চেয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। আসলে নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট। নাগরিকদের জন্য কী কী ব্যবস্থা করা হয়েছে তা জানতে চায় আদালত।
লক্ষ্মীপুজোর দিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বোমা, ইট, কাচের বোতল ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে ওই এলাকায়। একবালপুর থানা রীতিমতো দখল হয়ে যায় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে এলাকা পরিদর্শনে যেতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে আবার লালবাজার অভিযান করে বিজেপি।