কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় নিয়োগ নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সেই আবহেই তাঁকে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিল আদালত। এর পাশাপাশি আগামী কাল দুপুর ২ টোর মধ্যেই তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে জানান হয়েছে, নতুন সভাপতি নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত পর্ষদ সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী।
আরও পড়ুন- ‘পাপ করবে বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’ হিংসা নিয়ে কড়া টুইট মমতার
কেন হঠাৎ আজ মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? জানা গিয়েছে, এর আগের শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বেশ কিছু নথি জমা দেওয়ার কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আজ যে নথি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে তা গ্রহণ যোগ্য নয় বলেই মনে করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কারণেই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায় বর্তায়, আর সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আসলে যে নথি আদালতে পেশ করা হয়েছে তা পরে বানান হয়েছে কিনা, বা সদ্য তৈরি কিনা কিংবা বিকৃত কিনা, সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আদালত। তাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নথি গুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।
আগের শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই দফতরে হাজিরার কড়া ডেডলাইন দিয়েছিল আদালত। জানান হয়েছিল যে, তাঁকে গোয়েন্দাদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে। তা যদি না করা হয় তাহলে সিবিআই চাইলে তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে। তাঁরও কিছুদিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেট দুর্নীতি মামলায় এফআইআর দায়ের করে সিবিআই৷