কলকাতা: জনস্বার্থে জমি অধিগ্রহণ করলে ২০১৩ সালের কেন্দ্রীয় আইনকেই ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট তা রাজ্য যতই আপত্তি করুক। নদীয়া জেলার বেথুয়াডহরিতে জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ ইস্যুতে এমনটাই মত আদালতের। নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ওই জমি অধিগ্রহণ করার পর পুরনো আইনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্ষতিপূরণের অঙ্কে আপত্তি ছিল মামলাকারীর। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারির আগে জমি অধিগ্রহণ হয়ে থাকলে বা ক্ষতিপূরণের অঙ্কে আপত্তির যদি মীমাংসা না হয়ে থাকে, তাহলে ২০১৩ সালের আইন মেনেই আরবিট্রেশন করে ক্ষতিপূরণ মেটাতে হবে।
আরও পড়ুন- মন্ত্রিসভার বৈঠক এবার থেকে জেলে হবে! তীব্র কটাক্ষ দিলীপের
ওই মামলার প্রেক্ষিতেই আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে জেলা প্রশাসনের কাছে। আর পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে জেলা শাসককে আপত্তি শুনে সমস্যা মিটিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নতুন আইন মেনে। শুধু মামলাকারিই নন, জমিদাতা অন্যান্যদেরও যদি এমন আপত্তি থাকে, তাদের সকলের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। মামলাকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা চলছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনস্বার্থে জমি অধিগ্রহণে নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
আইনজীবী অরিন্দম দাসেরর বক্তব্য, এই বিষয়ক কয়েক হাজার মামলা ঝুলে রয়েছে আদালতে। এই অবস্থায় আদালতের এই নির্দেশ বহু মামলার সমস্যার সমাধানের রাস্তা করে দিল। অন্যদিকে জাতীয় সড়ক বিভাগের আইনজীবী দীপঙ্কর দাসের বক্তব্য, জাতীয় সড়কের জন্য জমি নেওয়া হলে নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ দিতে তাদের আপত্তি নেই।